You are currently viewing শেখ কামাল-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে
শেখ কামাল

শেখ কামাল-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে

শেখ কামাল এর জন্ম ৫ অগাস্ট ১৯৪৯ সালের গোপালগঞ্জ এর টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। এবং মৃত্যু ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫ সালে। তিনি ছিলেন আমাদের জাতির পিত বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শেখ কামাল ছিলেন দ্বিতীয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি ছিলেন মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক। যুদ্ধকালীন সময়ে শেখ কামাল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর এইড ডি ক্যাম্প (এডিসি) হিসেবে কাজ করে গেছেন।

                 পরিচয় সমূহ

                        পরিচয়

জন্ম

৫ অগাস্ট ১৯৪৯ সাল, গোপালগঞ্জ এর টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ।

মৃত্যু

১৫ অগাস্ট ১৯৭৫ সাল (বয়স ২৬) ধানমন্ডি, ঢাকা।

জাতীয়তা

বাংলাদেশী

পেশা

রাজনীতিবিদ, ক্রীয়া সংগঠক

পরিচিতির কারণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র

বিবাহ

সুলতানা কামাল

পিত-মাতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (পিত)

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা (মাতা)

শেখ কামাল এর শৈশবের ৫/৬ টি বছর কাটে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। যার পশে ছিল বাইগার নদী আর চারিদিকে সবুজের সমারোহ। দেখে মনেহয় সবুজে ঘেরা ছবির মতো একটি গ্রাম। শেখ কামাল যখন দু’মাস দশ দিন বয়সের তখন তার পিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৪৯ সালের ১৪ই অক্টোবর গ্রেফতার হন। যখন কামাল অল্প অল্প কথা বলতে শিখেন ১৯৫২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পান।

কিন্তু শেখ কামাল বাবাকে সেভাবে ছোট বেলা থেকে কখনো দেখেনি তাই তিনি তার বাবাকে তখন চিনতে পারেন নি. আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের সময়। এর পর শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর নেতৃত্বে যখন মন্ত্রী সভা গঠন করা হয় তখন শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রী হন। আর সেই সুবাদেই তিনি সপরিবারে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন।

শেখ কামালের শিক্ষা জীবন

শেখ কামাল ১৯৫৬ সালে ১১২- সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ডন্স কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কেজি-১ শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ওই স্কুল এর কেজি-১ থেকে কেজি-৩ এবং স্ট্যান্ডার্ড-১ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৩ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর তিনি ডাবল প্রমোশন নিয়ে ১৯৬১ সালে বিএএফ শাহীন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি যখন ছাত্র ছিলেন সেই সময়ই তিনি শাহীন স্কুলের তিতুমীর হাউস-এর ক্যাপ্টেন হিসেবে নির্বাচিত হন। শেখ কামালের ব্যবহার, তার শিষ্টাচার এবং তার উদার মন মানুষিকতার কারণে সেই হাউজের প্রায় সকলেই তাকে অনেক পছন্দ করতেন এবং তার সমর্থনে ছিলেন।

যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলের বাহিরে থাকতেন তখন তিনি শেখ কামালকে নিজেই স্কুল র নিয়ে যেতেন। অন্য সময় কামাল নিজেই স্কুটার চালিয়ে স্কুল এ যেতেন। তিনি শাহীন স্কুল থেকে ১৯৬৭ সালে এসএসসি পাশ করেন। এর পর তিনি ঢাকা কলেজ এ ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৬৯ সালে এইচএসছি পাশ করেন। এর পর ১৯৬৯ সালে তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি স্নাতক(সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের একজন ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৪ সালে যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেন তখন শেখ কামাল স্নাতক এর চূড়ান্ত পরীক্ষা দেন।

সে সময় তিনি অনেক অসুস্থ ছিলেন, তার পর ও তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সময় তিনি কখনো কোনো ক্লাস মিস করতেন না, এমন কি কোনো টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ও ব্যাড দিতেন না। শেখ কামালের হাতের লিখা ছিল অত্যন্ত সুন্দর। ১৯৭৫ সালে তিনি একই বিষয়ের উপর স্নাকোত্তর পরীক্ষায় অংর্শগহন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯শে জানুয়ারী স্নাকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পায়, কিন্তু এর আগেই তিনি এই শাহাদাত বরণ করেন। এই পরীক্ষাতেও তিনি দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন।

শেখ কামালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেওয়ার পর সেদিন রাতে যখন তিনি তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন তখন তিনি সবাইকে বলেছিলেন, আমার যা বলার ছিল আমি আজকের জনসভায় তা প্রকাশ্যে বলে ফেলেছি। সরকার এখন আমাকে যে কোনো সময় গ্রেফতার বা হত্যাও করে ফেলতে পারে। আর তাই আজকে ঠিক তোমরা প্রতিদিন আমার সাথে দু বেলা একসঙ্গে খাবার খাবে। আর সেই নিয়মেই ২৫শে মার্চ দুপুর পর্যন্ত চলে। সেদিন রাতে শেখ কামাল রাট ৯টার দিকে রাতের খাবার শেষে সকাল বেলা বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

পরের দিন ভোর বেলা শেখ কামাল তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আবার ফিরে আসেন তার মা এবং ভাইদের সাথে দেখা করার জন্য। এর পর কামাল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বেরিয়ে পড়েন। বাসা ছাড়ার পর তিনি কিছুদিন তিনি ধানমন্ডির এক সুইট পরিবার নামের একটি পরিবারের সাথে থাকেন। এর পর তিনি ছদ্দবেশ ধারণ করে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে গোপালগঞ্জে পৌঁছাতে পারেন।তিনি অনেক কষ্ট করে রাজাকারদের চোখ এড়িয়ে ইছামতি নদী পার হয়ে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দেবহাটা-হাছানাবাদ সীমান্ত পার করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ গিয়ে পৌঁছান। এর পর শেখ কামালকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তখন কার সময়ের ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দ্রিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসভবনে যান, এবং তিনি ঢাকার তখনকার পরিস্থিতির কথা তাকে খুলে বলেন।

তখন শ্রীমতি ইন্দ্রিরা গান্ধী শেখ কামাল কে দিল্লিতে থাকতে বলেন এবং এবং তাকে লেখাপড়া শুরু করতে বলেন। কিন্তু শেখ কামাল শ্রীমতি ইন্দ্রিরা গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যেখানে তার দেশ মাতা বিপদে আছেন, সেই সময় তাকে তার দেশ মাতার রাখার জন্য যুদ্ধে অংশগহন করতে হবে। আর তিনি তাই চান। এবং শেখ কামাল ৬১ জন সৌভাগ্যবান তরুণদের মাঝে একজন ছিলেন। যারা ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট ওয়ার কোর্স’ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে নিযুগতো হন। যুদ্ধের প্রশিক্ষণ চলাকালীন ১৬ সপ্তাহে শেখ কামাল কখনোই কোনো রকম অসুস্থ হন নাই। তিনি শারীরিক ভাবে সবার থেকে বেশি পারফেক্ট ছিলেন।

আর তার পার্ফমেন্স ও সবার থেকে অনেক ভালো ছিল। তিনি প্রশিক্ষণ কোর্স এ পঞ্চম স্থান লাভ করেন। যেকোন মুক্তিযুদ্ধ চলে সেই সময় তিনি মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। যুদ্ধ শেষে যখন বাংলাদেশ বিজয় লাভ করেন এর পর ১৯৭১ সালের ১৯শে ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল যুদ্ধফ্রন্ট থেকে তাদের ধানমন্ডির ১৮ নং সড়কের বাসায় ফায়ার আসেন। আর সেই সময় তাদের পরনে ছিল সামরিক পোশাক। নয় মাস পর যখন পরিবারের সবাই একসাথে হন তখন সবার চোক আনন্দের অশ্রু বয়ে যায়।

শেখ কামালের ক্রীয়া জীবন

 শেখ কামাল ছিলেন একজন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ক্রীয়া সংগঠক। খেলাধুলার ভীতির তার বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি খেলাধুলা অনেক পছন্দ করতেন। তিনি ১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার একটি মাঠে খেলতেন। তিনি ধানমন্ডির মাঠেও প্রায় খেলাধুলা করতেন। তখন কার সময় সেই সব এলাকাতে শিশুদের খেলাধুলার জন্য তেমন বিশেষ কোনো মাঠ না থাকায় তিনিই প্রথম তরুণদের জন্য ক্লাব করতে উদ্যোগী হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার আগেই তিনি আবাহনী সমাজ-কল্যাণ সংস্থা গঠন করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধ সে হলে তিনি ১৯৭২ সালে ‘আবাহনী ক্রীয়াচক্র’ নাম একটি ক্লাব গঠন করেন।

১৯৭৩ সালে যখন জার্মানির বার্লিনে ১০ম বিষ যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হন তখন তিনি তখন তিনি সেই অনুষ্টানে ৭৫ জন সদস্য নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি শুধুমাত্র ফুটবল নয়, আবাহনীর ক্রীয়া চক্রের হয় তিনি ক্রিকেট, হকি এবং টেবিল টেনিস দল গঠন করেন। তার দোল সব সময় ক্রীয়া অঙ্গনে বিজয় লাভ করতেন। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার অনুদান নিয়ে ‘খেলোয়াড় তহবিল’ তৈরী করেন।

শেখ কামালের রাজনৈতিক জীবন

রাজনৈতিক অঙ্গনে শেখ কামাল এর নেতৃত্ব ছিল সবসময় অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ৬-দফা থেকে শুরু করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা,১১-দফা এবং অসহায্যগি আন্দোলন সহ আরো সকল আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেগেছেন। ১৯৭০এর অসহযোগ আন্দোলন যখন চলে তখন তিনি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। সেই সময় কামাল গোপনে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতেন। যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে সেই সময় ছাত্রলীগের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে বিভাজন তৈরী করা হয়। সেই সময় শেখ কামাল ছাত্রলীগকে পুনরায় গঠন করেন আর আগের চাইতে আরো বেশি শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলেন।

শেখ কামালের সাংস্কৃতিক জীবন

আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র যেমন জ্বলজ্বল করলে সবার চোখে পরে, ঠিক তেমন ভাবেই শেখ কামাল ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ছিলেন ত্রিমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একসাথে অভিনয় করতেন, গান গাইতেন এবং সেতারা বাজাতেন। শেখ কামাল ছায়ানট থেকে সেতারা বাজানো শিখতেন। তিনি যখন অভিনয় করতেন তখন তাকে পেশাদার অভিনয় শিল্পীদের মতো মনে হতো। তিনি আন্তঃবিশবিদ্যালয়ের নাটক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেন। তিনি মেয়েদের খুব সম্মান করতেন আর তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য তিনি কখনো কোনো আপোস করেননি। তিনি নাট্যচক্রের একজন সহ-সভাপতি ছিলেন।

শেখ কামালের বিবাহিত জীবন

শেখ কামাল যাকে পছন্দ করতেন তিনি ছিলেন ক্রীড়াবিদ সুলতানা খুকি। তবে তাদের বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবেই। ক্রীড়াবিদ খুকির বাবা ছিলেন একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী। ১৯৭৫ সালের ১৪ই জুলাই তারা পারিবারিক ভাবে বিবাহিত জীবনে পদার্পন করেন।

১৯৭৫ এর ভয়াবহ ১৫ আগস্ট

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগে থেকেই কর্মসূচি করার জন্য ঢাকা বিশবিদ্দালয়ে আসার কথা ছিল। আর এই জন্য বিস্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছিল সেদিন উৎসব মুখর। আর তাই শেখ কামাল কয়েকদিন ধরেই একটি স্বেচ্ছাসেবক বিগ্রেডের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ১লা অগাস্ট থেকে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিছন্ন করার মহড়া শুরু করে দেয়। সাল ১৯৭৫ তারিখ ছিল ১৫অগাস্ট সময় ছিল তখন ভোররাত, সেই ভোররাতে কিছু বিপদমুখী সৈন্য বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণ শুরু করে দেয়। আর সেই আক্রমণে তাদের গুলিতে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে যায় এবং তারা চিৎকার করতে শুরু করে।

আর এই চিৎকারের শব্দ কোথাথেকে আসলো তা দেখার জন্য শেখ কামাল তার বাসার দোতলা থেকে নিচতলার অভ্যর্থনা রুমে যখন প্রবেশ করেন ঠিক তখনি তাকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। আর সেই দিন তাকেই প্রথম হত্যা করা হয়। আর এর পর এক এক করে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের মোট ১৮ জন সদস্যকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরিবারের অন্যান সকল সদস্যদের সাথে বীর মুক্তিযুদ্ধা শহীদ শেখ কামালকেও রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদায় শায়িত করে রাখা হয়।