You are currently viewing নায়ক আলমগীরের জীবনী ও সিনেমা ক্যারিয়ার
আলমগীর

নায়ক আলমগীরের জীবনী ও সিনেমা ক্যারিয়ার

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা নায়ক আলমগীরের প্রাথমিক জীবন

নায়ক আলমগীর একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, টেলিভিশন অভিনেতা, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং টেলিভিশন হোস্ট। আলমগীর ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কলিম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন মুখ ও মুখোশের নির্বাহী প্রযোজক, পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) নির্মিত প্রথম বাংলা ভাষার ফিচার ফিল্ম।

তাই তিনি একটি চলচ্চিত্রপ্রেমী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, পরবর্তীতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে একটি ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। তিনি  বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পের একজন চিরসবুজ অভিনেতা যিনি রেকর্ড নয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন। এক সময় চলচ্চিত্র জগতে তার আধিপত্য ছিল। তার অ্যাকশন, সোশ্যাল অ্যাকশন এবং রোমান্টিক সব ধরনের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। দীর্ঘ সময় পর, তিনি এখনও সারা দেশে একই জনপ্রিয়। তাকে দেশের সুপারহিরো হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

চলচ্চিত্র অভিনেতা নায়ক আলমগীরের ক্যারিয়ার

নায়ক আলমগীর আলমগীর কুমকুম পরিচালিত “আমার জনমভূমি” সিনেমার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে যাত্রা শুরু করেন। তারপর তিনি “দস্যু রানী” সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৮৫ সালে, তিনি “মা ও ছেলে” চলচ্চিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয় দেখিয়েছিলেন এবং প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এরপর তিনি ঢালিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে “মরনের পরে”, “ভাত দে”, “পিতা মাতার সন্তান”, “অন্দ বিশ্বাস” এবং “দেশপ্রেমিক” সহ প্রচুর ব্লকবাস্টার মুভিতে অভিনয় করেছিলেন।

উপরে উল্লেখিত সিনেমাগুলো তাকে ক্যারিয়ারে অনেক পুরষ্কার এনে দেয় যার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাঁর প্রচুর চলচ্চিত্র মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড সদস্য ছিলেন। 1১৯৮৬ সালে, তিনি নিষ্পাপ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক করেন। তিনি মাছরাঙা টেলিভিশনে হাউসফুল গেম শো -এর হোস্ট ছিলেন।

অভিনেতা আলমগীরের ব্যক্তিগত জীবন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক আলমগীর ১৯৭৩ সালে গীতিকার খোশনুরকে বিয়ে করেন। খোশনুর ও আলমগীরে সংসার জীবন দীর্ঘদিন চলছিল ভালবাভাবেই। কিন্তু হটাত করে তারা আলাদা থাকার সিদান্ত নেয়। যার ফলে তাদের দীর্ঘ দিনের সোনার সংসার নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। বাংলার আধুনিক গানের জনপ্রিয় গায়িকা আখি আলমগীর তাদের মেয়ে। গীতিকার খোশ্নুরের নায়কে সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলমীর বিয়ে করেন বিখ্যাত বাংলাদেশী গায়িকা রুনা লায়লা কে। রুনা লায়লা ও এই নায়কের সংসার বর্তমানে আনন্দের সাথে চলছে। তার মেয়ে গায়িকা রুনা লায়লা কে আন্টি বলে ডাকে। তার আর রুনা লায়লার সংসারে কোন সন্তান নেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমানে লিজেন্ডারি পরিবার হিসেবে ধরা হয় তাদের পরিবারকে। তারা বর্তমানে বিভিন্ন প্রোগ্রামে একে অপরের গুনগান করতে শুনা যায়। তাদের একে অপরের উপর যতেষ্ট শ্রদ্ধা ও ভালবাসা আছে।

নায়ক যখন গায়ক

গান গেতে ভালবাসেনা এমন মানুষ পাওয়া খুন দুষ্কর। মানুষ যেমন গান শুনতে পছন্দ করে তেমনি ভাবে গান গায়তে ও পছন্দ করে। আমরা সকলেই গুন গুন করে গান গেয়ে থাকি কম বেশি। শিল্পিরা ও এর ব্যতিক্রম নয়। হক সে সিনেয়ার পর্দা কাপানো নায়ক। দেশ বরেণ্য বাংলা সিনেমার নায়ক আলমগীর গান শুনতে যেমন ভালবাসে তেমনি ভাবে গান গেতে ও ভালবাসে। তার ইচ্ছে ছিল একজন গানের মানুষ হওয়া। তিনি প্রফেশনাল ভাবে গান না করলে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে গান গাইতে দেখা গিয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এক অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গিয়েছিল গান গায়তে। সেই অনুষ্ঠানে তার গান শুনে সকলে তালি দিচ্ছিল ও আনন্দ করছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিল অনেক গুনী অভিনেতা থেকে শুরু করে অনেক পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি গানকে ভালবাসে বলে তার মেয়ে আখি আলমগীর কে গায়িকা বানিয়েছেন। তার মেয়ে গানের শিল্পি হওয়ার পেছনে তার অবদান অনেক। তাছাড়া তার ঘরে তার স্ত্রী দেশ বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী। রুনা লায়লা শুধু দেশেই গান করেন নাই তিনি দেশের বাহিরে পাকিস্তান ও ভারতে গান গেয়েছেন। দেশের বাহিরেও তিনি সমান জনপ্রিয়।

দেশ বরেণ্য নায়ক সম্পর্কে আপনার মতামত জানান

দেশ বরেণ্য নায়ক আলমীর সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন। আপনি হয়ত এই গুনী শিল্পীর অভিনয় দেখে বড় হয়েছেন। এই লিজেন্ডারি শিল্পীর কোন ছবি আপনাকে প্রবাভিত করেছে তা আমাদের জানাতে পারেন। তাছাড় আর সিনেমা দেখতে গিয়ে কোন মজার কাহিনো মনে থাকলে শেয়ার করতে পারেন। নায়ক আলমগীরে কোন কিছু ভাল লাগলে আমাদের জানাতে পারেন।

অবশেষে বলতে চাই এই রকম শিল্পী প্রত্যেক বছর বছর আসে না। তাদের মত ক্ষণজন্মা অভিনেতা কয়েক যোগ পর পর আসে। তাই আমাদের উচিত তাদের সঠিক ভাবে সম্মান করা। নতুন অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের উচিত নায়ক আলমগীরের মত লিজেন্ডারী শিল্পীদের অনুসরণ করা। গুনী অভিনেতাদের অনুসরণ করলেই গুনী অভিনেতা হওয়া যায়।