You are currently viewing নায়ক আরিফিন শুভর জীবনী  ও লাইফস্টাইল
আরিফিন শুভ

নায়ক আরিফিন শুভর জীবনী ও লাইফস্টাইল

আরিফিন শুভ একজন বাংলাদেশের টিভি অভিনয়শিল্পী এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা। মডেলিং দিয়ে আরেফিন শুভ পা রাখেন বিনোদন জগতে। নাটকে কাজ করেন পরবর্তীতে। আরেফিন শুভ ২০১০ সালে জাগো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের ভুবনে পা রাখেন। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী চলচ্চিত্রে শাকিব খান ও জয়া আহসানের সাথে আরেফিন শুভ প্রথমবারের মত অভিনয় করেন একজন খলনায়ক হিসেবে। ব্যাপক প্রশংসা পান আরেফিন শুভ দর্শকমহল থেকে এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। আরেফিন শুভ মিশন এক্সট্রিম, সাপলুডু, ঢাকা অ্যাটাক, অস্তিত্ব, ছুঁয়ে দিলে মন এর মতো উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এক নজরে আরেফিন শুভ

মূলনামঃ মাহবুবুল আরিফিন শুভ

চলচ্চিত্রে নামঃ আরিফিন শুভ

ডাকনামঃ শুভ

জন্মঃ ১৯৮২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি

জন্মস্থানঃ ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ

কর্মজীবনঃ ২০০৩ – বর্তমান

পেশাঃ অভিনেতা, মডেল

বৈবাহিক অবস্তাঃ বিবাহিত

বিয়ে করেনঃ ২০১৫ সালে

স্ত্রীঃ অর্পিতা সমাদ্দার

ধর্মঃ ইসলাম

সেক্সঃ মেইল

ভাষাঃ বাংলা

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী

চোখের কালারঃ ডার্ক ব্রাউন

চুলের কালারঃ কাল

শরীরের কালারঃ উজ্জ্বল শ্যামলা

উচ্চতাঃ ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)

মডেলিং অভিষেকঃ ২০০৫ সালে

নাটকে অভিষেকঃ ২০০৭ সালে

সিনেমায় অভিষেকঃ ২০১০ সালে

প্রথম সিনেমাঃ জাগো

প্রথম নাটকঃ হ্যা-না

প্রিয় খেলাঃ দাবা

প্রিয় অভিনেতাঃ সালমান খান ও সালমা শাহ্‌

প্রিয় অভিনেত্রীঃ ঐশ্বর্য রাই

পুরস্কারঃ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার

 

আরেফিন শুভর পারিবারিক জীবন

অর্পিতা সমাদ্দারকে বিয়ে করেন আরিফিন শুভ ২০১৫ সালে। তারা দুজন দুজনকে ভালবেসে বিয়ে করেন। ফ্যাশন ডিজাইনার পেশায় একজন অর্পিতা সমাদ্দার। অর্পিতা আরেফিন এখন অর্পিতা সমাদ্দার থেকে বিয়ের পর থেকে। অর্পিতা সমাদ্দার জন্মগত ভাবে সনাতন ধর্মের অনুসারী।

আরেফিন শুভর প্রাথমিক জীবন

আরেফিন শুভ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে বাংলাদেশের। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিজ শহর ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ থেকে তিনি ঢাকা আসেন অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে।

আরেফিন শুভর অভিনয় জীবন

মডেলিং শুরু করেন ২০০৫ সালে আরিফিন শুভ। আরিফিন শুভ অভিনয় করেন হ্যাঁ-না নাটকে ২০০৭ সালে প্রথম মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর। আরেফিন শুভ অবস্থান শক্ত করেন ২০০৮ সালে অভিনয় করে ইজ ইকুয়াল টু ধারাবাহিক নাটকে। আরেফিন শুভ বড় পর্দায় অভিষেক হয় ২০১০ সালে খিজির হায়াত খান পরিচালিত জাগো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ২০১৩ সালে খলচরিত্রে অভিনয় করেন কয়েক বছর বিরতির পর চলচ্চিত্র পরিচালক শফি উদ্দিন শফি পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী চলচ্চিত্রে। শাকিব খান ও জয়া আহসান এই চলচ্চিত্রে তার সহশিল্পী ছিল।

কানে লাগে সংলাপ এবং একক নাট্য অভিব্যক্তি প্রকাশের প্রশংসা করেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও সমালোচক মতিন রহমান ছবিতে তার। ব্যবসায়িক দিক থেকেও ছবিটি সফল হয়। মনোনিবেশ করেন এরপর তিনি চলচ্চিত্রে। অভিনয় করেন ভালোবাসা জিন্দাবাদ চলচ্চিত্রে সে বছর। আইরিন সুলতানা কাজ করেন এতে তার বিপরীতে। ইফতেখার চৌধুরীর অগ্নি ছবিতে ২০১৪ সালে তিনি একজন পেশাদার খুনী ড্রাগন ও বক্সিং খেলোয়াড় চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর শাহাদাত হোসেন লিটনের মন বোঝেনা, অভিনয় করেন তারকাঁটা ছবিতে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় যা নিয়ে দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে এবং ভালো ব্যবসা করতে পারে না মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত।

অভিনয় করেন কিস্তিমাত পরিচালিত চলচ্চিত্রে আশিকুর রহমান। সাফল্য পায় বেশ ভালো যা ব্যবসায়িক দিক থেকে। ২০১৫ সালে ছুঁয়ে দিলে মন শিহাব শাহীন পরিচালিত ও ওয়ার্নিং চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ওয়ার্নিং সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন নায়িকা মাহিয়া মাহি।  ছুঁয়ে দিলে মন চলচ্চিত্র দর্শকদের ব্যাপক সাড়া পায় ও অভিনয়শিল্পী পুরুষ বিভাগে তারকা জরিপ পুরস্কার অর্জন করেন ও সমালোচক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এই চলচ্চিত্রের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র। ছুয়ে দিলে মন সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন নাটকের প্রিয় মুখ জাকিয়া বারী মম। তিনটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে পাশাপাশি কাজ করেন। প্রাণ আপের বিজ্ঞাপনে পরীমনি ও যমুনা গ্রুপের বিজ্ঞাপনে নাদিয়া নদী এবং নুসরাত ফারিয়া মাজহার মিস্টার কুকিজের বিজ্ঞাপনে তার সাথে কাজ করেন।

আরেফি শুভ ২০১৬ সালে আশিকুর রহমান পরিচালিত অ্যাকশনধর্মী মুসাফির এ অভিনয় করেন যার জন্য তিনি মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী এর পুরস্কার পান। অনন্য মামুন পরিচালিত নাট্যধর্মী অস্তিত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমাটিতে তিনি অভিনয় করেন সুবিধবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষক হিসেবে।  ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায় দর্শক ও সমালোচকদের কাছে এবং ব্যাপক সাড়া ফেলে যা। যৌথ প্রযোজনার নিয়তি জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত বাংলাদেশ ভারত ওই বছরের শেষ দিকে মুক্তি পায়। এছাড়া আরিফিন শুভর এরপর ❝আহা রে❞ মুভিটি ও মুক্তি পায়। আহারে সিনেমায় শুভর সাথে অভিনয় করেন ভারতের বিশিষ্ট্য অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ।

অভিনয় প্রশংসিত হয় আরিফিন শুভর এবং ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় দর্শকদের কাছ থেকে এই ছবিটি থেকে বেশি। এছাড়াও রাজনৈতিক থ্রিলার সাপলুডু মুক্তি পায় শেষদিকে বছরের। এবং যা সাড়া ফেলতে সক্ষম হয় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক। এছাড়াও মিশন এক্সট্রিম ২ ও মিশন এক্সট্রিম তার আসন্ন সিনেমাগুলি হলো। এতে জলি অভিনয় করেন বিপরীতে তার। পথ রোমাঞ্চকর রোম্যান্টিক প্রেমী ও প্রেমী এবং শামিম আহমেদ রনি পরিচালিত কমেডিধর্মী ধ্যাততেরিকি ২০১৭ সালের শুরুর দিকে মুক্তি পায় যা যৌথ প্রযোজনার সিনেমা। নুসরাত ফারিয়া ধ্যাততেরিকি সিনেমায় শুভর নায়িকা হিসেবে থাকেন।

এবং বহুল প্রশংসিত হয় সমালোচকদের কাছেও এবং ইতিবাচক সাড়া ফেলে আরেফিন শুভর অভিনয় এই ছবিতে। পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার ঢাকা অ্যাটাক দীপংকর দীপন পরিচালিত মুক্তি পায় অক্টোবরে। আন্তজার্তিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হয় এবং এই মুভিটি বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে । ঢাকা মহানগর পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলের প্রধান আবিদ রহমান চরিত্রে দেখা যায় এতে তাকে। এছাড়াও মৃত্যপুরী অপেক্ষায় আছে মুক্তির।

আরেফিন শুভর পুরস্কার

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারঃ ২০১৩ পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী। ২০১৪ তারকাঁটা। ২০১৫ ছুঁয়ে দিলে মন। ২০১৬ মুসাফির (চলচ্চিত্র)। ২০১৭ ঢাকা অ্যাটাক।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারঃ ২০১৯ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ঢাকা অ্যাটাক।

আরেফিন শুভর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ

১। সিনেমা জাগো মুক্তিপায় ২০১০ সালে যেটি পরিচালনা করেন খিজির হায়াৎ খান
২। সিনেমা মন বোঝেনা মুক্তিপায় ২০১২ সালে যেটি পরিচালনা করেন শাহাদাত হোসেন লিটন
৩। সিনেমা ছায়াছবি নির্মণ হয় ২০১২ সালে যেটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
৪। সিনেমা পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহানী মুক্তিপায় ২০১৩ সালে যেটি পরিচালনা করেন সাফি উদ্দিন সাফি
৫। সিনেমা ভালবাসা জিন্দাবাদ মুকিপায় ২০১৩ সালে যেটি পরিচালনা করেন দেবাশীষ বিশ্বাস

৬। সিনেমা অগ্নি মুক্তিপায় ২০১৪ সালে যেটি পরিচালনা করেন ইফতেখার চৌধুরী
৭। সিনেমা তারকাটা মুক্তিপায় ২০১৪ সালে যেটি নির্মাণ করেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
৮। সিনেমা কিস্তিমাত মুক্তিপায় ২০১৪ সালে যেটি নির্মাণ করেন আশিকুর রহমান
৯। সিনেমা দরদিয়া নির্মণ হয় ২০১৫ সালে যেটি নির্মাণ করেন ওয়াজেদ আলো সুমন
১০। সিনেমা ছুয়ে দিলে মন মুক্তিপায় ২০১৫ সালে যেটি পরিচালনা করেন শিহাব শাহীন

১১। সিনেমা ওয়ানিং মুক্তিপায় ২০১৫ সালে যেটি নির্মাণ করেন সাফি উদ্দিন সাফি
১২। সিনেমা মুসাফির মুক্তিপায় ২০১৬ সালে যেটির পরিচালক আশিকুর রহমা
১৩। সিনেমা অস্তিত্ব মুক্তিপায় ২০১৬ সালে যেটি নির্মাণ করেন অনন্য মামুন
১৪। সিনেমা আয়নাবাজি মুক্তিপায় ২০১৬ সালে যেটি পরিচালনা করেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী
১৫। সিনেমা নিয়তি মুক্তিপায় ২০১৬ সালে যেটি পরিচালনা করেন জাকির হোসেন রাজু

১৬। সিনেমা প্রেমী ও প্রেমী মুক্তিপায় ২০১৭ সালে যেটির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু
১৭। সিনেমা ধ্যাততেরিকি মুক্তিপায় ২০১৭ সালে যেটি নির্মান করেন শামীম আহমেদ রনি
১৮। সিনেমা ঢাকা অ্যাটাক মুক্তিপায় ২০১৭ সালে যেটি পরিচালনা করেন দীপংকর দীপন
১৯। সিনেমা ভালো থেকে মুক্তিপায় ২০১৮ সালে যেটি নির্মান করেন জাকির হোসেন রাজু
২০। সিনেমা একটি সিনেমার গল্প মুক্তিপায় ২০১৮ সালে যেটি পরিচালনা করেন আলমগীর

২১। সিনেমা ডিটেকটিভ নির্মান হয় ২০১৮ সালে যেটি পরিচালনা করেন তপন আহমেদ
২২। সিনেমা আহারে মুক্তিপায় ২০১৯ সালে যেটি নির্মাণ করেন রঞ্জন ঘোষ
২৩। সিনেমা সাপলুডু মুক্তিপায় ২০২১ সালে যেটির পরিচালক গোলাম সোহরাব দোদুল
২৪। সিনেমা মিশন এক্সট্রিম মুক্তিপায় ২০২১ সালে যেটি পরিচালনা করেন সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ
২৫। সিনেমা বঙ্গবন্ধু নির্মাধীন

ভক্তদের জন্য আরেফিন শুভর উপহার

অভিনয়শিল্পী আরিফিন শুভ ভক্তদের হতাশ করতে চান না। মুক্তি পাচ্ছে না সিনেমা। তাতে কী! তাই বড় পর্দার এই অভিনেতা আরেফিন শুভ এই ঈদে দর্শকের সামনে হাজির হবেন ভিন্ন পরিবেশনা নিয়ে। এবং নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে আরেফিন শুভর নিজের কণ্ঠে গাওয়া গানের ভিডিও ঈদুল ফিতরে। কে জিয়া লিখেছেন মনটা বোঝে না শিরোনামের এই গানটি এবং গানটিতে সুর তুলেছেন কে জিয়া ও ফুয়াদ আল মুক্তাদির। এছাড়াও বলেন আরেফিন শুভ।

এটা আমার দর্শক ভক্তদের জন্য বড়ো ধরনের একটা চমক বলতে পারেন। গানের মানুষ তো আমি না। কয়েক লাইন গেয়েছিলাম অগ্নি ছবির জন্য এর আগে। বাট এই কাজটি করা হয়েছে যেকোনোভাবেই হোক। মিশন এক্সট্রিম এই ঈদে ছিল আমার বড় উপহার ভক্তদের জন্য। বাট মুভি মুক্তি দেওয়া গেল না। তাই ছোট্ট উপহার তাঁদের জন্য এই গানটি। কিন্তু এভাবে কোনো দিন নিজের কণ্ঠের গান দর্শক শ্রোতাদের সামনে ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয়নি। ভালো গিটারও বাজান। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও কণ্ঠ বেশ ভালো ছিলো আরেফিন শুভর।

কাজটি প্রসঙ্গে আরেফিন শুভ জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে গানটি করা হয়েছে বছর দেড়েক আগে। ফুয়াদ আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত বন্ধু আরেফিন শুভ এটাও বলেন। ফুয়াদ যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই থাকেন। এবং আমি যুক্তরাষ্ট্রে একটি কাজে সেখানে গিয়েছিলাম বছর দেড়েক আগে। ঠিক তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ওই সময়টাই। এবং তাঁর পীড়াপীড়িতেই কাজটি করেছি।

কিন্তু সে পরিকল্পনা আপাতত বাদ ঈদে প্রকাশ করবেন বলে। আরেফিন শুভ বলেন ইচ্ছা ছিলো বেশ জাঁকজমকভাবে শুটিং করব দেশের বাইরে। বেশ বড় পরিকল্পনা ছিলো আরেফিন শুভর এই গানটি নিয়ে। কিন্তু ভক্তদের উপহার দিতে চাই গানটি ঈদে। তাই কাজটি করার সুযোগ হচ্ছে না এই করোনার মধ্যে ওভাবে। আরেফিন শুভ এটাও জানান, এই বন্ধের মধ্যেই শুটিং শেষ করেছেন বাসায় বসে। ক্যামেরা ছিল বাসায়। তাঁর স্ত্রী অর্পিতা চালিয়েছেন ক্যামেরা। অর্পিতা আগে থেকেই ফটোগ্রাফি করে আরেফিন শুভ এটাও বলে।

সহজ হয়েছে তাই কাজটা করতে ভক্তদের খারাপ লাগবে না ভালোই হয়েছে। আরিফিন শুভর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে মনটা বোঝে না গানের ভিডিওটি। প্রকাশিত হবে কবে? জানতে চাইলে আরিফিন শুভ বলনে। এখনই প্রকাশের তারিখ বলা যাচ্ছে না। তবে এটি নিশ্চিত, ভিডিওটি ঈদকে কেন্দ্র করেই প্রকাশিত হবে। এবং আমার ফেসবুক পেজ থেকে জানা যাবে বাকি সব তথ্য গান প্রকাশের আগে। কাজ চলছে আপাতত সম্পাদনার এরপর গ্রাফিকস ও কালারে কাজ হবে।

আরিফিন শুভ এবার নির্মাতা

আরিফিন শুভ চলচ্চিত্র অভিনেতা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী বাসায়। এখনই অভিনয় করতে চান না এই তারকা প্রায় আড়াই মাস পর শুটিং শুরু হলেও। এই অভিনেতাকে নির্মাতা হিসেবে দেখা যাবে তবে করোনাকালে। ৯ মাস ধরে শুটিং করছেন তথ্যচিত্রটির নিজের পরিকল্পনা ও গবেষণায়। আরিফিন শুভ নিজেই এটির মূল ভূমিকায় আছেন। হাজির হয়েছিলেন তাঁর নিজের কণ্ঠে গাওয়া গান গেয়ে আরিফিন শুভ গত ঈদে । আরিফিন শুভ ও জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন মিশন এক্সট্রিম ছবিতে। আরিফিন শুভ এ প্রসঙ্গে বলেন। ৯ মাস ট্রেনিং হয়েছে আমার। তিন মাস শুটিং হয়েছে মিশন এক্সট্রিম ছবির জন্য।

ফিজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন হয় যে আমার ট্রেনিংয়ের সময়। সেটাই দৃশ্যধারণ করা হয়েছে ৯ মাস ধরে। এ তথ্যচিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি সেটার বিহাইন্ড দ্য সিন দিয়ে। যে শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছিল তথ্যচিত্রটিতে ছবির জন্য। তুলে ধরা হয়েছে গল্প আকারে সেটাই। সামঞ্জস্য রেখে সময় নির্ধারণ করা হবে পুরো তথ্যচিত্রটি আন্তর্জাতিক তথ্যচিত্রের সঙ্গে। এই অভিনেতা জানান কবে মুক্তি পাবে এটা জানতে চাইলে বলেন। নির্ভর করছে কাজ শেষ হওয়ার ওপর। আগামী ঈদে প্রচার হতে পারে সব ঠিক থাকলে। আরও জানান তিনি। ১০ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল তাঁকে সে সময় শুটিংয়ের জন্য।

কে এই উমা আরিফিন শুভর সাথে

কন্ট্র্যাক্ট ওয়েব সিরিজ নির্মিত হয়েছে ভারতের অনলাইন স্ট্রিমিং প্লাটফর্ময়ের জন্য। চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ অভিনয় করেছেন এই ওয়েব সিরিজে। এই ওয়েব সিরিজটির কাজ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরেই। আইশা খান অভিনয় করেছেন এখানে আরিফিন শুভর বিপরীতে। যদিও অভিনয় করছেন মূখ্য চরিত্রে এখানে সকলেই নির্মাতাদের মতে। সকলেই বলতে শ্যামল মাওলা, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা এবং চঞ্চল চৌধুরী সহ আরও অনেকেই। কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় যৌথভাবে পরিচালনা করছে তানিম নূরের সঙ্গে ছবিটি। কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলছেন।

সকল চরিত্রই সমান গুরুত্বের সমান ভূমিকার ৬ পর্বের এই ওয়েব সিরিজ। প্রথম সিজন হিসেবে প্রচারের অপেক্ষায় থাকলেও দ্বিতীয় সিজনের পরিকল্পনাও নেওয়া রয়েছে এই ওয়েব সিরিজের ৬ টি পর্ব । তবে কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান এরপরে আর কোনো সিজন হবে কি না করা তা নিয়ে আলোচনা হয়নি এখনও বলে। নির্মাণ করা হয়েছে এই সিরিজটি কন্ট্র্যাক্ট উপন্যাস অবলম্বনে লেখক নাজিমউদ্দিনের। বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে গুডরিডস এ বাঙালি পাঠকদের। বিশ্বে সবচেয়ে বড় বই রিভিউ প্রদানের প্ল্যাটফর্ম গুডরিডস। নির্মাতারা মনে করছেন বলে এর একটা বড় দর্শক সমাগম হবে ঠিক এই কারণের ওপর ভর করেই।

তবে একটা মূখ্য বিষয় একসাথে অনেক তারকাদের উপস্থিতিও। কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলছেন আমরা একটা লেভেলের স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেন করেছি। যেহেতু এই সিরিজটি জনপ্রিয় একটি উপন্যাস অবলম্বনে করা তাই সেইসকল পাঠকদের দর্শক হিসেবে পাবো আমরা। কন্ট্র্যাক্ট একটা নতুন স্বাদ দেবে দর্শকদের। স্ক্রিন থেকে উঠবেন না শেষ না হওয়া পর্যন্ত। সিরিজটি দর্শকদের চুম্বকের মতো টেনে রাখবে। যেসকল দর্শক এর বাইরে আসবেন। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেই অর্থে পলিটিক্যাল থ্রিলার হয়নি।

এটা একটা অপেক্ষার কাজ নির্মাতা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানালেন। হ্যা অবসান হচ্ছে সেই অপেক্ষার। কন্ট্র্যাক্ট ওয়েব সিরিজটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী মার্চেই। তানিম নূর হলেন ওয়েব সিরিজের আরেকজন নির্মাতা। ওয়েব সিরিজে কেন চলচ্চিত্র থেকে? আরিফিন শুভ এই প্রশ্নের জবাব গণমাধ্যমে দিয়েছেন। আরেফিন শুভ বলেন এই ওয়েব সিরিজের প্রতি আগ্রহী হয়েছি আমি স্বার্থপরের মতো লোভী হয়ে। গল্পটা প্রথম লোভ বলা যায়। দ্বিতীয় লোভ হচ্ছে টোটাল টিমটা বা পরিচালকবৃন্দ। তৃতীয় লোভ হচ্ছে কলাকুশলী যারা আছে যে ডিওপি আছে এটার। হ্যা, তার লোভ। গল্প, পরিচালক এবং অবশ্যই এটার যে প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে ভারতে নিঃসন্দেহে এটা বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত একটা প্ল্যাটফর্ম।

সংক্ষিপ্ত সারাংশ কন্ট্র্যাক্ট উপন্যাসেরঃ একটি টেলিফোন কল পাঁচ লক্ষ টাকা দামের ও কোটি টাকার ষড়যন্ত্র। ফিরে আসতে হলো দেশে পেশাদার খুনি বাস্টার্ডকে। এবং লাইফটাইম কন্ট্রাক্ট একটি। সব কিছু জট পাকাতে শুরু করে আত্মবিশ্বাসী বাস্টার্ড তার মিশনে নেমে পড়তেই। এক বিশাল ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যায় সে এবং আর্বিভূত হয় হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ, এ দিকে দৃশ্যপটে। একেবারেই ভিন্ন তাদের দু’জনের লক্ষ্য। আর অন্ধকার জগতের উপাখ্যান ষড়যন্ত্র আর পাল্টা ষড়যন্ত্র-রাজনীতি।

ওয়েব সিরিজটি নির্মিত হয়েছে ঠিক এই গল্পকে অবলম্বন করেই। আরিফিন শুভর বিপরীতে দেখা গেছে আইশা খানকে সকল পরিচিত তারকাদের মধ্যে। আইশা খানকে চিনতে পারছেন না আরিফিন শুভর অনেক ভক্তই। উমা চরিত্র করছেন যিনি এই ওয়েব সিরিজে। কে এই আইশা? বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকগুলো সূত্রে এই প্রশ্ন পাওয়া গেছে। খুব পরিচিত মুখ বিজ্ঞাপনচিত্রে আইশা খান।

একের পর এক বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল ও মোবাইল অপারেটর কম্পানির বিজ্ঞাপন। সেনোরার একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনা এসে করেছেন। অভিনয় করেছেন ক্লোজআপ কাছে আসার অমাপ্ত গল্পে। আইশা খান চলচ্চিত্রেও মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। খুব বেশি কথা বলেননি আইশা খান কন্ট্র্যাক্ট ওয়েব সিরিজে কাজের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে। আইশা খান বললেন, আমি কাজ করছি উমা চরিত্রে। বিভিন্ন তারকা শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করা হয়েছে এই ওয়েব সিরিজে আরিফিন শুভ ভাইয়া ছাড়াও। খুব ভালো একটা কাজ এটা একটা ভালো অভিজ্ঞতা। আমার বলার কিছু নেই আসলে এর বাইরে। নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে আরও জানতে হলে।

শেষকথা

আরেফিন শুভকে ভালো লাগার সবচেয়ে বড়ো মাধ্যম হলো তার অভিনয়ের সাথে মিশে যাওয়া। যেনো এক একটি অভিনয় তার বাস্তব জীবনের সাথে ঘটতেছে এমন ভাবে নিজেকে অভিনয়ে ফুটিয়ে তুলেন তিনি। তার উচ্চতা, বডি ফিগার, চেহারা সব মিলিয়ে একজন সেরা অভিনেতা তিনি। যেকোনো অভিনয়ে নিজেকে মিশিয়ে নিতে পারেন। এ কারনেই আমি তার বড়ো একজন ফ্যান।

আরিফিন শুভর সোসালমিডিয়া প্রোফাইলঃ

ফেইবুক প্রোফাইল

ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল

টুইটার প্রোফাইল

ইউটিউব