You are currently viewing সুপারস্টার আফরান নিশোর জীবনী ও লাইফস্টাইল
আফরান নিশো

সুপারস্টার আফরান নিশোর জীবনী ও লাইফস্টাইল

বর্তমানে বাংলাদেশের টিলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামটি হল আফরান নিশো। মডেলিং এর মাধ্যমে মিডিয়ায় যাত্রা করা আফরান নিশো বর্তমানে টেলিভিশন নাটকের সুপারস্টার। একের পর এক সুপারহিট নাটক উপহার দিয়ে যাচ্ছে দর্শকদের। তার নাটক মানেই যেন ইউটিউবে লাখ লাখ ভিউ। তার প্রিয় দর্করা তার একটি নাটকও মিস করতে চান না। নিশো তার কাজের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। সবার প্রিয় এই গুনী অভিনেতার মিডিয়া, পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও লাইফস্টাইল সম্পর্কে জানতে চাই সাধারণ দর্শক ও ভক্তরা। আমরা আমাদের আজকের এই লেখায় সবার প্রিয় আফরান নিশোর জীবনের জানা অজানা সকল তথ্য শেয়ার করব। নিশো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুড় লেখাতি পড়ুন।

এক নজরে আফরান নিশো

মূল নামঃ আহমেদ ফজলে রাব্বী নিশো

মিডিয়া নামঃ আফরান নিশো

ডাক নামঃ নিশো

জন্মঃ ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর

জন্মস্থানঃ ভূঞাপুর উপজেলা, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ

পেশাঃ অভিনেতা, মডেল

রাশিঃ ধনুরাশি

ধর্মঃ  ইসলাম

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী

ভাষাঃ বাংলা

উচ্চতাঃ ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি

বুকের সাইজঃ ৪২ ইঞ্চি

কোমরের সাইজঃ ৩৩ ইঞ্চি

শরীরের কালারঃ ফর্শা

চুলের কালারঃ কালো

চোখার কালারঃ ডার্ক ব্রাউন

আফরান নিশোর জন্ম ও বেড়ে ওঠা

আহমেদ ফজলে রাব্বি ওরফে আফরান নিশো জন্মগ্রহণ করেন ৮ ডিসেম্বর ১৯৮০ সালে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামে। তাদের গ্রামের বাড়িটিকে এলাকার সাধারণ মানুষ ভারই সেন বাড়ি নামে চিনে। টাঙ্গাইলে তার গ্রামের বাড়িতে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন। তার শৈশবের অনেকটা সময় তিনি ব্যয় করেছেন তার জন্মস্থানে। তারপর তিনি ঢাকায় চলে আসেন।

আফরান নিশোর প্রাথমিক জীবন

আহম্মেদ ফজলে রাব্বি যাকে আমরা আফরান নিশো নামে জানি। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠা আফরান নিশো ২০০৩ সালে প্রাথমিকভাবে মডেলিং দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতেই তিনি পেয়েছিলেন অমিতাভ রেজা মত গুনী নির্মাতাকে। তার কিছু বছর পরেই সুযোগ পান দেশের গুণী নির্মাতা গাজী রাকায়েত সাহেবের একটি নাটকে ২০০৬ সালে। ২০০৬ সালে প্রথম নাটক হিসেবে অভিষক হয় নিশোর যেটি পরিচালনা করেন গাজী রাকায়েত। তারপর শুধুই ইতিহাস তৈরি গেছেন নাটকের ইন্ডাষ্টিতে।

মিডিয়ায় যাত্রা ও প্রথম কাজ

* মডেলিং শুরুঃ ২০০৩ সালে
* প্রথম মডেলিংঃ বিজ্ঞাপনচিত্রে
* প্রথম পরিচালকঃ অমিতাভ রেজা
* অভিনয় শুরুঃ ২০০৬ সালে
* প্রথম অভিনয় শুরু করেনঃ নাটকে
* প্রথম নাটকঃ ঘরছাড়া
* প্রথম নাটকের পরিচালকঃ গাজী রাকায়েত

আরো পড়ুনঃ আরেফিন শুভর জীবনী 

আফরান নিশোর ক্যারিয়ার

বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং দিয়ে নিশোর মিডিয়ার ক্যারিয়ার শুরু হয়। অমিতাভ রেজার বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং দিয়ে শুরু করা নিশো পরবর্তিতে অনেক বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। তিনি দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পান। বিজ্ঞাপনচিত্রে তিনি তার সহঅভিনেত্রী পেয়েছেন অনেক গুণী অভিনেত্রীদেরকে। বিজ্ঞাপনচিত্রে সফলতার পর তিনি ঘরছাড়া নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকের জগতে প্রবেশ করেন। তার প্রথম নাটকটি ২০০৬ সালে নির্মাণ করেন অভিনেতা ও নির্মাতা গাজী রাকায়েত। গাজী রাকায়েত এর নাটক দিয়ে টিভি নাটকের ক্যারিয়ার শুরু করা নিশো এখন টিভি নাটকের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। তার নাটক মানেই হিট।

 বিগত কয়েক বছর যাবত নিশো একের পর এক দর্শক প্রিয় নাটক উপহার দিয়েছ। তিনি সব ধরনের চরিত্র নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারে যেমন রোমান্ডিক, পজেটিভ রোল, নেগেটিভ রোল, কমেডি, স্যাড, থ্রিলধর্মী কিংবা অ্যাকশান ধর্মী। দর্করা তার চরিত্রের মাধে ন্যাচারাল ভাব খুজে পায়। তিনি একই চরিত্রে বার বার অভিনয় করতে চান না প্রত্যকটি নাটকের জন্য আলাদা আলাদা গল্প সিলেক্ট করে কাজ করেন। নিশোর স্মার্ট এন্ড ইউনিক এট্রাকটিভ লুক মেয়ে দর্কদের অনেক প্রিয়। তিনি বুকের বা পাশে নাটক দিয়ে নাটক অঙ্গনে আলোড়ন সৃস্টি করে ফেলেন। নিশোর নাটকের সিডিউল পাওয়ার জন্য নির্মাতাদের অনেক স্টাগল করতে হয়।

নিশোর উল্লেখ্যযোগ্য কিছু নাটক

১। বুকের বা পাশে

২। হ্যালো শুনছেন

৩। পুনর্জন্ম ১ অ্যান্ড ২

৪। ইন ডিসিপ্লিন

৫। তিনি আমার বক্কর ভাই

৬। টম এন্ড জ্যারি

৭। আমি দেবদাস হতে চাই

৮। দা ইন্ড

৯। এক্স বয়ফেন্ড

১০। শেষটা সুন্দর

১১। ছেকা খেয়ে বেকা

১২। মোবাইল চোর

১৩। শিল্পী

১৪। ভাই প্রচুর দাওয়াত খাই

১৫। কায়কোবাদ

১৬। ওয়াদা

১৭। নয়না

১৮। সানগ্লাস

১৯। ছেলেটা বেয়াদব

২০। ব্রেক আপ

মেহেজাবিন চৌধুরী ও নিশো জুটি

জুটির কথা আসলে সবার আগে সিনেমার জুটির কথা আসে। আমরা এতদিন এটাই দেখে আসছি। কিন্তু নাটকে ও যে সফল জুটি হিসেবে সফলতা পাওয়া যায় তা মেহেজাবিন চৌধুরী ও নিশো জুটি প্রমাণ করেছে। মেহেজাবিন চৌধুরী ও নিশো জুটি মানেই দর্শদের আলাদা আকর্ষণ। এই জুটি এক সাথে প্রায় ৫০+ নাটকে অভিনয় করেছে। এই জুটির ব্যর্থ কোন নাটক খুজে পাবেন না। বর্তমান নাটক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত জুটি তারা।

নিশোর পড়াশোনা

ছোট বেলা থেকে টাঙ্গাইল শহরে বেড়ে ওঠা আফরান নিশোর পড়ালেখা শুরু হয় টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। কিন্তু তার পরিবার ঢাকায় চলে আসার কারণে তাকেও স্কুল ছাড়তে হয় ৮ ম শ্রেণীতে থাকার অবস্থায়। টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় আসার পর তিনি ভর্তি হয় ধানমন্ডি সরকারি বালক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে তিনি এস এস সি পাস করেন সফলতার সাথে। পরে তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় পাস করেন। পরবর্তিতে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন বেসরকারি ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে তিনি গ্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

* শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্নাতক
* প্রাথমিকঃ টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
* এস এস সিঃ ধানমন্ডি সরকারি বালক বিদ্যালয়
* এইচ এস সিঃ ঢাকা কলেজ
* বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

বিয়ে, সন্তান ও ব্যক্তিগতসম্পর্ক

আফরান নিশোর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ছোট সুখি পরিবার। নিশোর পরিবারে তার স্ত্রী ছাড়াও তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নিশো দীর্ঘ ১১ বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেন তৃষাকে। তারা একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেন ২০১১ সালে। তারা ইতোমধ্যে একসাথে অনেক দিন সংসার করছে। এই সুখী সম্পতির একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের একমাত্র ছেলে সন্তানের নাম নির্ভান।

বৈবাহিক অবস্থাঃ বিবাহিত
বিয়ে করেনঃ ভালবেসে
ভালবাসার বয়সঃ ১১ বছর
বিয়ে করেনঃ ২০১১ সালে
স্ত্রীর নামঃ তৃষা
সন্তানঃ ১ ছেলে
ছেলের নামঃ নির্ভান
অ্যাফেয়ার্সঃ জানা নেই

নিশোর পরিবার

নিশোর বাবার নাম মো আবদুল হামিম মিয়া ও মায়ের নাম আনজুমান আরা। নিশোর বাবা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন টাঙ্গাইল এর ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের। তিনি সদস্য ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের। তাছাড়া নিশোর বাবা ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধা। যিনি নিজের জীবন বাজী রেখে দেশকে স্বাধীন করার জন্য ভূমিকা রেখেন। নিশো তার বাবার মুক্তিযুদ্ধা পরিচয়টা দিতেই বিশী গর্বভোধ করেন। নিশোর বাবা ১ অক্টোবর ২০২০ মারা যান। তিনি ফুসফুসে ক্যানসারজনিত রুগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নিশোর ১ বোন ও ১ ভাই রয়েছ।

পরিবার

* বাবাঃ মো. আবদুল হামিম মিয়া
* বাবার উপাধিঃ একজন মুক্তিযোদ্ধা
* বাবা মারা যানঃ ১ অক্টোবর ২০২০ সালে
* মাতাঃ আনজুমান আরা
* ভাইবোনঃ এক ভাই ও এক বোন
* ভাইয়ের নামঃ জানা নেই
* বোনের নামঃ জানা নেই

আফরান নিশোর পুরস্কার ও সম্মাননা

নিশো কাজের পুরস্কার হিসেবে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। নিশো প্রথমবারের মত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান ২০১৬ সালে সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী হিসেবে যোগ বিয়োগ নাটকের মাধ্যমে। ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয় বার ও সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী হিসেবে এই পুরস্কার পান বুকের বা পাশে নাটকের জন্য ২০১৮ সালে। নিশো তৃতীয় বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান শেষটা সুন্দর ছিল নাটকের জন্য ২০১৯ সালে। তৃতীয় বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান দর্কদের রায়ে পপুলার ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী হিসেবে।

১। যোগ বিয়োগ নাটকের জন্য ২০১৬ সালে সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী
২। বুকের বাঁ পাশে নাটকের জন্য ২০১৮ সালে সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী
৩। শেষটা সুন্দর ছিল নাটকের জন্য ২০১৯ সালে দর্কদের রায়ে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী

তাছাড়া নিশো আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড পান ২০১৯ সালে ১ ঘণ্টার নাটক ও টেলিফিল্মে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয় এই শহরে ভালোবাসা নেই নাটকের জন্য। নিশো তার সকল পুরস্কার উসর্গ করেন তার গুরু শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী স্যারকে।

আফরান নিশোর সোসাল মিডিয়া, প্রিয় জিনিস ও ঠিকান

আফরান নিশো সোসালমিডিয়াতে খুব সরব। তাকে প্রায় সময়ই দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ছবি শেয়ার করে। তাছাড়া তিনি তার কাজের আপডেট গুলো সোসালমিডিয়ায় দিয়ে থাকে। এখন আধুনি যুগে সব সেলিব্রটিরা সোসাল মিড়িয়ায় অ্যাক্টিভ থাকে। আপনি যদি নিশোর লেটেস্ট ছবি, কাজের আপডেট জানতে চান তাহলে তাকে সোসাল মিডিয়ায় ফলো করতে পারেন।

সোসাল মিডিয়া প্রোফাইল

* ফেসবুক প্রোফাইলঃ ভেরিফাইড নেই
* টুইটার প্রোফাইলঃ ভেরিফাইড নেই
* ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলঃ https://www.instagram.com/afran.nisho/
* ইউটিউবঃ নেই

আফরান নিশোর প্রিয় জিছু জিনিস

* প্রিয় অভিনেতাঃ হুমায়ুন ফরীদি
* প্রিয় অভিনেত্রীঃ জানা নেই
* প্রিয় খেলাঃ জানা নেই
* প্রিয় কালারঃ কালো, সাদা
* প্রিয় পরিচালকঃ অনেকে
* প্রিয় খাবারঃ জানা নেই
* প্রিয় শখঃ জানা নেই

যোগাযোগের ঠিকানা

* মোবাইল নাম্বারঃ জানা নিই
* ল্যান্ডফোন নাম্বারঃ জানা নেই
* বাসার ঠিকানঃ জানা নেই
* অফিসের ঠিকানাঃ জানা নেই
* ইমেইলঃ জানা নেই
* ওয়েবসাইটঃ নেই