You are currently viewing প্রধানমন্ত্রী শেখ  হাসিনার জীবনী ও রাজনীতির ক্যারিয়ার
শেখ হাসিনার জীবনী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী ও রাজনীতির ক্যারিয়ার

শেখ হাসিনার জীবনী (Biography of Sheikh Hasina): ১৭ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকা মহীয়সী নারী, যিনি বাঙ্গালীর হৃদয়ের মর্মবেদনা এবং সুখের শ্রোতা, সেরা রাজনীতিবিদগণের মধ্যে অন্যতম রাজনীতিবিদ এবং এক জীবন্ত কিংবদন্তী হলেন মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে।

তার এসব কৃতিত্বে বিশ্ববাসী অভিভূত। বাংলার প্রতিনিধিত্বকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অর্জন এর মধ্যে “মুকুট মণি উপাধি ” একটি সম্মানজনক অর্জন। এই মহান নেতা তার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার কৃতিত্বে জাতিসংঘ ১৭বার প্রশংসা করে বিবৃতি দেয়। দারিদ্রতা দূর করা, সুরক্ষা, শান্তি নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কারণে জাতিসংঘ সাবটাইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছে “এসডিজি অগ্রগতি পুরষ্কার “।

বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলা তুন্নেসা মুজিব এর সন্তানগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সন্তান হলেন শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ এর টুঙ্গি পাড়ায় জন্ম হলেও পরবর্তিতে ঢাকায় স্থানান্তরিত হোন এবং এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

শেখ হাসিনার জীবনীতে তার প্রাথমিক জীবন

১৯৪৭ সালের পূর্ববাংলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। তার বাবা শেখ মুজিবুর ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। শেখ হাসিনার বেড়ে উঠা হয় গ্রাম বাংলার ধুলোমাটি, সবুজ প্রকৃতি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গে। শৈশবে শেখ হাসিনার শিক্ষা জীবন শুরু হয় গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার একটি পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় আসেন শেখ হাসিনা।

একজন দেশ সেরা রাজনীতিবিদ এর কন্যা হয়ে তিনি ভয়ে ভয়েই জীবন কাটাতেন বলেও জানান বিভিন্ন সাক্ষাতকারে। ১৯৭০ এর সহিংসতার সময়েও তিনি তার নানিবাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। শেখ হাসিনা বা তার পরিবার তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলোতে বঙ্গবন্ধু কে খুব কম সময়ের জন্য পেয়েছেন। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠার কারণে অন্যান্য শিশুর থেকে শেখ হাসিনার জীবন ছিলো একদম ভিন্ন ধরণের।

শেখ হাসিনা যখন ছোট ছিলেন বঙ্গবন্ধু তখন বারবার কারাগারে থাকতেন বা প্রায়শই বিভিন্ন কারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতেন। এমন কি হাসিনার বিয়ের সময়েও তিনি কাছে ছিলেননা। বঙ্গবন্ধুর পরিবার তা মেনেও নিয়েছিলেন। রাজনৈতিক কারণে পরিবার থেকে এমন দূরে দূরে থাকা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য স্বাভাবিক বিষয়ের মত হয়ে গেছিলো। শেখ হাসিনাও তার নানিবাড়িতে অভ্যস্ত, তিনিও তার নানিবাড়ি থাকা উপভোগ করতেন।

আরো পড়ুনঃ শেখ হাসিনার স্বামি এম এ ওয়েজেদ মিয়ার জীবনী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী তার ব্যক্তিগত জীবন

১৯৬৮ সালে তার বিয়ে হয় খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে। যিনি একাধারে লেখক, বিজ্ঞানী এবং চেয়ারম্যান। তিনি রাজনৈতিক বিষয়াদির উপর বই লিখেছেন, আরো লিখেছেন পদার্থবিজ্ঞানের উপর এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। শেখ হাসিনা এবং ওয়াজেদ মিয়ার এক ছেলে এবং এক মেয়ে। তাদের একমাত্র ছেলের নাম হলো সজীব ওয়াজেদ এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। শেখ হাসিনার বেয়াই অর্থাৎ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শ্বশুড় হলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ছেলে সজীব ওয়ায়জেদ একজন তথ্য প্রযুক্তিবিদ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টাও। আর মেয়ে সায়মা হোসেন ওয়াজেদ পুতুল। সে একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তিনি অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার নাতি-নাতনির সংখ্যা সাত জন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জীবিত সদস্যের মধ্যে একজন হলেন শেখ হাসিনা এবং অন্যজন হলেন শেখ রেহানা। শেখ রেহানা লন্ডনে বসবাস করেন। শেখ হাসিনার স্বামী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান ।

আরো পড়ুনঃ শেখ হাসিনের ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবনী

শেখ হাসিনার জীবনীতে তার রাজনৈতিক জীবন

জন্ম সূত্রে বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার রয়েছে বর্ণাঢ্য ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কালীন সময়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরের বছর সভাপতি ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এছাড়া ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনা সব গণ-আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং একই সাথে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা এবং প্রধানমন্ত্রীদের মডেল হলেন তিনি।

আরো পড়ুনঃ শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জীবনী

শোকের সময় এবং রাজনৈতিক মডেল হওয়ার সময়

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট রাতের সেই নির্মম কাহিনী তুলে ধরেন শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা। সেদিন রাতে ইউরোপে ডিনারে তারা মজা করতেছিলো। তারা উল্লাসে মেতে ছিলো সারারাত। আর পরদিন বাবা মায়ের এবং পরিবারের কথা জেনে পরিস্থিতি পালটে যাওয়ার কথাও বলেন।

ঘটনাটি উল্লেখ করে রেহানা যা বলেন তার সারসংক্ষেপ এই যে, তারা সেই ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে অনেক বেশি মজা বা আমোদ ফূর্তি করতেছিলো। তখন তার দুলাভাইয়ের ঘুমের ডিস্টার্ব হলে তার দুলাভাই বলে এত আনন্দ কইরোনা এর ফল ভালো হয়না। শেখ রেহানার দুলাভাই এর কথা যেন একদম সত্যি হয়ে গেলো যা পরেরদিনই বুঝা যায়।

টেলিফোনে পরিবারের এ হত্যা সংবাদ শুনে মুষড়ে পড়েন শেখ হাসিনা এবং বলেন ওই টেলফোনের আওয়াজের মত কর্কশ সাউন্ড বোধহয় আর নাই। যে আওয়াজ এখনো তার মনে বেজে উঠে। সেই কর্কশ ভয়ানক আওয়াজের শব্দ শুনে তিনি এখনো কেঁপে উঠেন। পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছয় বছর ভারতে অবস্থান করেন।

১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা তিনটি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনা নব্বইয়ের ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দানকারী দের মধ্যে অন্যতম। তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করেন।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পর ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর আবার ২০০৯ থেকে ২০১৮ এর সাধারণ নির্বাচনে ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ বারের মত প্রধানমন্ত্রীত্ব পদে বহাল থেকে দেশ ও জাতির উন্নতিতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি। ১৯৮১ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন।

আরো পড়ুনঃ শেখ হাসিনার বাবার জীবনী

শেখ হাসিনার কারাবরণ

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কালে ওই বছরের ১৬ জুলাইতেই কারাগার বন্দী হন শেখ হাসিনা। এরপর মুক্তি পান ১১ জুন । ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসে। এ ছাড়া ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাকে আটক করে । ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাকে দুইবার গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২ মার্চ তাকে আটক করার পর প্রায় তিন মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন একাধারে গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বরে তাকে গ্রেপ্তার করে এক মাসের মতো অন্তরীণ রাখা হয়। তারপর ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হয়ে গৃহবন্দী হন। এরপর ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ চেষ্টা

২০০৪ সালের ২১ই আগস্টে বড় ধরনের হামলার পরিচালনা করে বিরোধী দলিয় চক্রান্ত। ওই দিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোড়া হয়। ভয়ানক সেই হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেয়ে যায়। কিন্তু আইভি রহমানসহ তার দলের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন এবং পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও তখন কানে প্রচন্ড আঘাত পান।

শেখ রেহানার জবানিতে ২০০৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার কথা তুলে ধরেন প্রামাণ্যচিত্রে। শেখ রেহানা যা বলেন তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা এই যে, আতিথেয়তার কাজে তিনি অতি মাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন, ওইদিন তার বাসায় মেহমান আসছিলো। আর এই।ব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ টিভিতে এ নিউজ দেখেন। নিউজে প্রথমে শুনে যে শেখ হাসিনা নাই এবং পরবর্তিতে হাসিনার গাড়ি দেখে আর দেখে যে হাসিনার পুরো শরীরে রক্ত।

শেখ হাসিনার অবদান

গত একদশকে দারিদ্রতার হার ৩১ থেকে ২০ এ নেমেছে। মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে ২২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে।

★ নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এক অভূত সাফল্য এনেছে।
★ শিশু মৃত্যু হার কমে হাজারে ২৩ দশমিকে এসেছে।
★ নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম।
★ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উপরের ধাপে পৌঁছেছে।
★ ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ এবং টেকসই ব-দ্বীপে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ চলতেছে।
★ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জ্ঞান ভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তরের কার্যক্রম চলতেছে।
★ করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের সংস্থান হয়েছে এ অর্থ বছরে।

★ পারমানবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি অনুস্বাক্ষর করছে বাংলাদেশ সরকার।
★ ধনী এবং শিল্পোন্নত দেশ সমূহকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, নিঃসরণের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং প্রযুক্তির অবাধ হস্তান্তরের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার।
★ খাদ্যের অভাব থেকে খাদ্য উদবৃত্তের দেশে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ।
★ পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল সহ দেশের বড় বড় প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনার জীবনী

একনজরে শেখ হাসিনা বৃত্তান্তঃ-

আসল নাম : শেখ হাসিনা ওয়াজেদ
ডাকনাম : হাসিনা
পিতার নাম : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
মাতার নাম : বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা।
জন্ম তারিখ : সেপ্টেম্বর ২৮
জন্ম সাল : ১৯৪৭ সাল।
জন্মস্থান : টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ।
বর্তমান বয়স : ৭৪ বছর।
কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ।
শিক্ষা : স্নাতক।
জাতীয়তা : বাংলাদেশী।
ধর্ম : ইসলাম।
সম্প্রদায় : সুন্নি।
লিঙ্গ : মহিলা।
বৈবাহিক অবস্থা : বিবাহিত
স্বামী / স্ত্রী : এম এ ওয়াজেদ মিয়া
বিয়ের সাল : ১৯৬৮
স্বামীর মৃত্যু : ২০০৯ সাল।
সন্তানের সংখ্যা : ২জন।
সন্তানদের নাম : সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
শখ : রান্না, পড়া।
পেশা : রাজনীতিবিদ অথবা জননেত্রী বা রাজনৈতিক নেত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রী।
বিখ্যাত : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

শারীরিক পরিসংখ্যান

অনেকে শেখ হাসিনার জীবনিতে তার শারীরিক পরিসংখ্যান জানতে চাবেন। তাদের জন্য বিস্তারিত উল্লেখ্য করা হল-

চোখের রঙ : ল্যাভেন্ডার গ্রে।
চুলের রঙ : সাদা এবং কালো।
রাজনৈতিক দল : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
অন্যান্য রাজনৈতিক অনুষঙ্গ : মহাজোট ২০০৮ থেকে বর্তমান পর্যন্ত।
খেলাধুলা : ক্রিকেট এবং ফুটবল।

শেখ হাসিনার জীবনীতে -সম্মান বা পুরষ্কার

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, শান্তি প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে। সেইসব পুরস্কারগুলো শেখ হাসিনার জীবনীর এই পর্যায়ে যুক্ত করা হল। সেসব পুরষ্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সম্মাননা গুলো হলো :

★ বিশ্বের ক্ষমতাধারী ১০০ নারীর তালিকায় ৫৯ তম ফোর্বসের।
★ “প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ” by UN-Women
★ ” মানবতার মা ” চ্যানেল 4 কর্তৃক।
★ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির জন্য শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৯৮ সালে ইউনেসকো শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসান হয়।
★ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য ২০০৯ সালে শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে।

★ প্রধানমন্ত্রী দুই বার সাউথ সাউথ পুরস্কার এবং ব্রিটেনের গ্লোবাল ডাইভার্সিটি পুরস্কারে ভূষিত হন।
★ ইউনেসকো তাকে ২০১৪ সালে ‘শান্তির বৃক্ষ’ এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাকে রিজিওনাল লিডারশিপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে।
★ বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এজন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে।

★ জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসামান্য অবদান রাখেন। এর জন্য লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
★ শেখ হাসিনাকে ICTs in Sustainable Development Award-2015 প্রদান করা হয় টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য
★ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা “বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর ডিগ্রী ” ২০১৫ সালে।
★ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডক্টর অফ লেটারস ২০১৮ সালে।
★ বোস্টন ইউনিভার্সিটি ও অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক “ডক্টর অফ ল” স্বীর্কিতি দেয়া শেখ হাসিনাকে।

★ ইউনেস্কো কর্তৃক ফেলিক্স houphuet Boigony শান্তি পুরষ্কার।
★ নরওয়ে মহাত্মা এম কে গান্ধী ফাউন্ডেশন কর্তৃক “এম কে গান্ধী পুরষ্কার”।
★ তিনি খাদ্য ও কৃষি সংস্থার “সেরেস মেডেল” পান।
★ প্রাশ্চের অক্সফোড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক “ডক্টর” উপাধিতে ভূষিত হোন।
★ রানডলফ কলেজ কর্তৃক “পার্ল এস বাক”।
★ “পরিবেশ পুরষ্কার ” জাতিসংঘের দ্বারা।
★ ডক্টর অফ লিটারেচার ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা।

শেখ হাসিনার জীবনীতে -সংস্কৃতিতে শেখ হাসিনা

★রেজাউর রহমান খান পিপলুর পরিচালিত ডকুড্রামা হাসিনা অ্যা ডটার্স টেল- এ নামের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখা যায়।
আল- জাজিরার ৬৪ মিনিটের তথ্যচিত্রের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ” অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

শেখ হাসিনার জীবনীতে তার লেখালেখি বা গ্রন্থ সমূহ :-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উল্লেখযোগ্য সব গুণাবলী ছাড়াও লেখালেখির ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ ধরণের অবদান রেখেছেন। তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে –

★ অশ্রুতে বসবাস।
★ দুর্দশায় গণতন্ত্র মানবতাকে হেয় করেছে।
★ শেখ রাসেল।
★ শেখ মুজিব আমার পিতা।
★ আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি।
★ ওরা টোকাই কেন?
★ বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম
★ দারিদ্র্য বিমোচন।
★ সবুজ মাঠ পেরিয়ে।
★ কিছু ভাবনা।
★ আমার স্বপ্ন।
★ আমার সংগ্রাম।
★ সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র।
★সাদা কালো।
★ Miles to Go
★ The Quest for Vision-2021’ প্রভৃতি।
★ আমরা জনগণের কথা বলতে।
★ রচনা সমগ্র।
★ ঠিক ১০০ ভাষণ।
★ ঠিক প্রবন্ধ।
★ দ্য কোয়েস্ট ফর ভিশন ২০২১। ( প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশ)
★ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে শেখ মুজিবুর রহমান।
★ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে প্রতীক ভাষণ।

অবশেষে

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ফরেইন পলিসির বিশ্বব্যাপী শীর্ষে ১০০ বৈশ্বিক চিন্তাবিদ দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি বিশ্ব নারী নেত্রী পরিষদ-এর একজন সদস্য। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শাসন আমল যথেষ্ট গৌরবময় ছিলো। তিনি তার শাসনামলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনেক বেশি প্রশংসিত ও ছিলেন। তার গৌরব বা অর্জনের শেষ নাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননেত্রী নামেও পরিচিত। আমরা হয়তো শেখ হাসিনার জীবনীর অনেক কিছুই মিছ করে গেছি। শেখ হাসিনার জীবনীতে আরও কিছু যুক্ত করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।