You are currently viewing নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেনের জীবনী ও মৃত্যু
মেয়র লোকমান হোসেন

নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেনের জীবনী ও মৃত্যু

নরসিংদীর ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল রাজনীতিবিদ হলেন নরসিংদীর সাবেক পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনবন্ধু শহীদ লোকমান হোসেন। মেয়র লোকমান হোসেন ছিলেন জাতীয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত পৌর মেয়র ও পৌর মেয়দের সভাপতি। জনগণের প্রিয় এই রাজনীতিবিদ ছিলেন জনমানুষের নেতা। তাই তাকে সাধারণ মানুষ ভালবেসে জনবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হলেন প্রয়াত লোকমান হোসেনের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলী। তামান্না নুসরাত নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। 

লোকমান হোসেনের স্ত্রী বুবলী ও চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্ত্রামীর মত জনগনের সেবা করতে। মেয়র লোকমান হত্যার পর তার ভাই মো. কামরুজ্জামান কামরুল নরসিংদী পৌরসভার মেয়র, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মেয়র লোকমান হোসেনের আরেক ভাই জনপ্রিয় ছাত্রনেতা নরসিংদী জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শামীম নেওয়াজ। তিনি নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি ও নরসিংদী জেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদ ছিলেন। মেয়র লোকমান হোসেনের নামে একটি সামাজিক সংগঠন জনবন্ধু লোকমান হোসেন ফাউন্ডেশন রয়েছে যেটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন লোকমানের ভাই মাহমুদুল হাসান শামীম নেওয়াজ।

আরো জানুনঃ জিয়াউর রহমানের জীবনী

নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের মৃত্যু

১ নভেম্বর, ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের দলীয় কার্যালয়ে একদল সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনকে। তার এই হত্যাকান্ডে তার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলের নেতার জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই মো. কামরুজ্জামান কামরুল বাদী হয়ে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও নরসিংদী-৫ আসনের সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি।

আরো জানুনঃ এ কে এম শামীম ওসমানের জীবনী