You are currently viewing তাহসান খানের জীবনী ও লাইফস্টাইল
তাহসান খান

তাহসান খানের জীবনী ও লাইফস্টাইল

বাংলাদেশের সেলিব্রটিদের মধ্যে সবচেয়ে ট্যালেন্ট ও মেধাবীদের মধ্যে তাহসান খানের নাম সবার উপরে থাকবে। কারণ তিনি তার প্রতিভা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে। তাকে বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত করা যায়। তার জীবনের শুরুটা হয়েছিল শিক্ষতা দিয়ে। কিন্তু তিনি এখন দেশ সেরা গায়ক ও সফল অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রোগ্রাম উপস্থাপনা ও বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। এত কিছু পরিচয় থাকার পরও তাকে বিভিন্ন ক্রাইসিসে পড়তে দেখেছে দর্শক। তার বিবাহ বিচ্ছেদ, গান, অভিনয় সহ সকল বিষয়ের জানা অজানা কথা আজকে জানার চেষ্টা করব এই লেখায়। তাহসান খানের ক্যারিয়ার ও পরিবার সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে লেখাটি সর্ম্পণ পড়ুন।

এক নজরে তাহসান খান

মূল নামঃ তাহসান রহমান খান

ডাক নামঃ তাহসান খান

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী

জন্মঃ ১৯৭৯ সালেরর ১৮ অক্টোবর

জন্মস্থানঃ ঢাকা, বাংলাদেশ

পৈতিক স্থানঃ বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ

বৈবাহিক অবস্থাঃ বিবাহিত

বিয়ে করেনঃ ৩ আগস্ট ২০০৬ সালে

সাবেক স্ত্রীঃ রাফিয়া রশিদ মিথিলা

বিচ্ছেদঃ ২০ শে জুলাই ২০১৭ সাল

বর্তমান স্ত্রীঃ নেই

বাবা হনঃ ৩০ এপ্রিল ২০১৩ সালে

সন্তানঃ আইরা তাহরিম খান

প্রথম স্কুলঃ এ জি চার্চ স্কুল

শিক্ষকতা করানঃ ইস্টার্ন, ইউল্যাব ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়

পেশাঃ অভিনেতা, গায়ক, শিক্ষক, মডেল, সুরকার, উপস্থাপক

স্টুডিও নামঃ কৃতদাসের আবাসে

প্রথম সিনেমাঃ টু বি কন্টিনিউড

ব্যবসা সফল সিনেমাঃ যদি একদিন

প্রথম নাটকঃ কাছের মানুষ

প্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রীঃ উওম কুমার, ম্যাক গ্রায়েল

পুরস্কারঃ সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার

ধর্মঃ ইসলাম

চোখের কালারঃ ডার্ক ব্রাউন

চুলের কালারঃ কালো

উচ্চতাঃ ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি

প্রথম সুপারহিট গানঃ আলো আলো

ব্যান্ডদলঃ ব্ল্যাক, তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ

তাহসান খানের ব্যক্তিগত ও প্রাথমিক জীবনী

১৮ অক্টোবর ১৯৭৯ সালে ঢাকায় জন্ম নেয়া তাহসান রহমান খান এখন বাংলাদেশের প্রথম সারির সেলিব্রেটি। তাহসানের পৈতিক বাড়ি বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ হলে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। ব্যক্তিগত জীবনে তাহসান খানের একটি মাত্র মেয়ে সন্তান আইরা তাহরিম খান রয়েছে। তাহসান ভালবেসে বিয়ে করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী রাফিয়া রশিদ মিথিলাকে। তাদের বিয়ে হয় ৩ আগস্ট ২০০৬ সালে। এক সময় ভাবা হন তাহসান মিথিলা সবচেয়ে সফল জুটি। তাদের জুটির কথা মানুষ উদাহরণ হিসাবে দেখাত। 

কিন্তু দর্শক ও স্রোতাদের আশাহত করে তারা বিবাহ বিচ্ছেদের সিধান্ত নেন। যা তাদের অনুসারীরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। ২০১৭ সালের ২০ শে জুলাই তারা একে অপরের থেকে আলাদা হন ডির্বোসের মাধ্যমে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাহসান রহমান এখন পর্যন্ত বিয়ে করেন নি। এই দিকে রাফিয়া রশিদ মিথিলা বিয়ে করে সংসার করছেন। মিথিলা বিয়ে করেছেন কলকাতার সনামধন্য মেধাবী পরিচালক সৃজিত মূখার্জিকে।

তাহসান খানের শিক্ষাজীবন

সেন্ট যোসেফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও এ জি চার্চ স্কুল এ পড়াশোনার মাধ্যমে তাহসান রহমানের শিক্ষা জীবন শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই দুই প্রতিষ্ঠানে তিনি সফল ভাবে পাশ করে শেষ করেন। তাহসান এইচ এস সি পাশ করেন বাংলাদেশের প্রথম সারির কলেজ নটর ডেম থেকে ১৯৯৮ সালে। নটর ডেম কলেজ থেকে এইচ এস পাশ করার পর তিনি মার্কেটিং এ ব্যাচেলর করেন বাংলার প্রাচের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে এ মাস্টার ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তিতে তিনি যুক্তরাস্ট্রে পড়তে যান স্ক্লারশিপ নিয়ে। যুক্তরাস্ট্র থেকে সফলভাবে এম বি এ ডিগ্রী অর্জন করেন।

তাহসান খানের কর্মজীবন

গান ও অভিনয় ছাড়াও তাহসান বিভিন্ন পেশায় কাজ করেছেন। তিনি কর্মজীবনে কয়েকটি সেক্টরে কাজ করেছিলেন। তাহসান শুরুতে কাজ করেন ইউনিলিভার নামক একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই বছর। তিনি দেশের বাহিরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন মার্কেটিং শাখায়। তাছাড়া তিনি আরো ছোট খাট জায়গায় কিছু কাজ করেছেন।

শিক্ষক তাহসান খান

তাহসান খানের সবচেয়ে ভালবাসার পেশা শিক্ষকতা। তিনি সুযোগ পেলেই ছুটে যান ছাত্রদের কাছে। ইস্টার্ন ইউনিভাসিটি নামক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তিতে তিন আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যাল ইউল্যাবে শিক্ষক হিসেবে পড়ান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে মানসম্মত ও প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন ২০১৩ সালে। শিক্ষাথীদের কাছে তাহসান খান একজন আর্দশ শিক্ষক।

অভিনয়ে তাহসান খান

তাহসান প্রথম অভিনীত নাটক কাছের মানুষ। বর্তমানে নাটকের একজন পরিচিত ও নিয়মিত মুখ। তার অভিনিত নাটক বিভিন্ন দিবসে প্রকাশ পেয়ে থাকে। বিশেষ করে ভালবাসা দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, পূজায়, হ্যাপি নিউ ইয়ার এ। নাটকে সাধারণ তিনি জুটি বেধে অভিনয় করে থাকেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, বিদ্যা সিনহা মীম, মিথিলা সহ আরো অনেকের সাথে।

তাহসান অভিনীত কিছু নাটক

১। নীল পরী নীলাঞ্জনা
২। আমাদের গল্প
৩। মনফড়িং
৪। মনের মত মন
৫। অন্য রকম পরীর গল্প

৬। কথাবন্ধু মিথিলা
৭। স্পর্শের বাইরে তুমি
৮। চিনিগুড়া প্রেম
৯। লাভ্লেইন
১০। তোমার পিছু পিছু

১১। মিস্টার এন্ড মিসেস
১২। কথোপকথন
১৩। এংরি বার্ড
১৪। লাভ এন্ড ওয়্যার
১৫। আশ্রয়

চলচ্চিত্রে তাহসান খান

তাহসান খানের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় টু বি কন্টিনিউড নামক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তার পর তিন অভিনয় করেন বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত সিনেমা যদি একদিন। যদি একদিন সিনেমাটি নির্মাণ করেন নাটকের পরিচিত মুখ মোস্তফা কামাল রাজ। এই সিনেমায় তাহসানের বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার মিষ্টি মেয়ে বলে খ্যাত জনপ্রিয় নায়িকা শ্রাবন্তী। সিনেমাটিতে খল নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন তাসকিন আহমেদ। যদি একদিন সিনেমাটি ব্যবসায়িক দিক দিয়েও সফল। চলচ্চিত্রটি হ্রদয় খানের গাওয়া ল্যক্ষি শোনা গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়। তাহসান রহমানের পরের সিনেমা নো ল্যান্ডস ম্যান যেটি একটি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা। সিনেমাটিতে তাহসানের পাশাপাশি অভিনয় করেন ভারতের শক্তিমান অভিনেতা নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকী ও অভিনেত্রী ঈশা চোপড়া। 

নো ল্যান্ডস ম্যান সিনেমাটি নির্মাণ করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত পরিচালক ও নাট্য নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। তাহসান খান শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয়ই করেন নি গান ও সংগীত আয়োজন ও করেছেন। তিনি শিহাব শাহীন পরিচালিত ছুয়ে দিলে মন সিনেমার টাইটেল সং গান। টাইটেল সং টি খুবই পপুলার হয়। সিনেমাটিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন আরেফিন শুভ ও নায়িকা জাকিয়া বারী মম। এই গানটির জন্য সিনেমাটি ব্যবসা সফল হতে সাহায্য করেছিল। তাছাড়া তাহসান সংগীত আয়োজন করেছেন থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ও টু বি কন্টিনিউড সিনেমায়।

তাহসান অভিনীত সিনেমা

* টু বি কন্টিনিউড
* যদি একদিন
* নো ল্যান্ডস ম্যান

তাহসান খানের গানের জীবন

তাহসান খান সারা বাংলাদেশে গানের মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে পরিচিতি লাভ করেন। গানই তাকে প্রথম তারকা খ্যাতি এনে দেয়। তিনি গানে অন্য একটি ধারা নিয়ে আসেন যা সবার মন জয় করে নেয় সহজে। তিনি তার সুরের জাদুতে মুগ্ধ করে রাখতে পারেন সকল শ্রণীর স্রোতাদের। বলা হয়ে থাকে তাহসানের গানের ভক্তের সংখ্যা ছেলেদের থেকে মেয়ে বেশি। বিশেষ করে তরুণ মেয়েরা তার গানের পাগল বেশি। তার গানের শুরুটা হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে। তিনি ছয় বছর রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত গানের প্রতিষ্ঠান থেকে। তিনি রবীন্দ্রংগীত দিয়ে শুরু করলেও তার গানের ঝোক ছিল ব্যান্ড সংগীতের প্রতি।

 ব্যান্ড সংগীতের প্রতি ভালবাসা এতটাই বেশি ছিল যে ব্র্যাক নামক একটি ব্যান্ডদল গঠন করে ফেলেন। তাহসান রহমান তার ব্যান্ডদলটি গঠন করেন তার কয়েকজন বন্ধু মিলে। তারা সকলে দীর্ঘদিন ব্যান্ড দল ব্র্যাকে ছিল। এই ব্যান্ড দল থেকেই অনেক জনপ্রিয় গান বের হয়েছে। ব্র্যাক ব্যান্ড থেকে তাহসানের দুইটি আলবাম বের হয় একটি আমার পৃথিবী ও আরেকটি উৎসবের পর। এক পর্যায়ে ব্যান্ড দলটি চেয়েছিল অল্টারনেটিভ রক ধাচের গান করবে। যেহেতু ব্যান্ড দলটি সেই সময় ভাল পারফর্ম করছিল তাই চেয়েছিল অন্য ধাচের গান করার। কিন্তু তাহসান রহমান বরাবরই গান করতেন স্লো ব্যালেড ধাচের গান। 

তিনি চাইতেন না অন্য ধাচের গানের সাথে তিনি জড়াতে। তিনি তার ধাচের গানের সাথেই থাকতে চেয়েছিল। তাই তিনি তার অন্যান্য ব্যান্ড সংদস্যদের ইচ্ছেকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্র্যাক ব্যান্ড দলটি ছেড়ে দেন। তিনি ব্যান্ড ছেড়ে দিলেও তার ব্যান্ডের প্রতি অন্যরকম ভালবাসা ছিল। তাই তিনি নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেন তাহসান এন্ড দ্য সুফিজ নামক নতুক একটি ব্যান্ড দল ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি। নতুন ব্যান্ড দল থেকে তাহসান স্লো ব্যালেড ধাচের গান করেন নিয়মিত।

তাহসানের গানের একক ও মিশ্র ক্যারিয়ার

তাহসান ব্যান্ড থেকে বেশি সফলতা পেয়েছেন একক ও মিশ্র ক্যারিয়ারে। তাহসানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল গান আলো আলো গানটি একক গান ছিল। তিনি তার গানের ক্যারিয়ারে অসংখ্য সুপারহিট ও জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন স্রোতাদের। তার প্রথম একক অ্যালবাম ছিল কথোপকথন ও শেষ অভিমান আমার।

তাহসানের উল্লেখযোগ্য কিছু অ্যালবাম ও গানঃ

১। কথোপকথন (অ্যালবাম)
২। উদ্দ্যেশ্য নেই (অ্যালবাম)
৩। প্রত্যাবর্তন (অ্যালবাম)
৪। ইচ্ছে (অ্যালবাম)
৫। সমস্বয়

৬। ছুয়ে দিলে মন (গান)
৭। আলো আলো (গান)
৮। কেউ না জানুক(গান)
৯। মন কারিগর (গান)
১০। কেন হঠাৎ এলে (গান)

১১। কোন এক কথা বন্ধু (গান)
১২। প্রথম প্রেম (গান)
১৩। কে আকে অন্য ছবি (গান)
১৪। প্রতিজ্ঞা (গান)
১৫। সেই মেয়েটা (গান)

উপস্থাপক ও বিচারক তাহসান রহমান

তাহসানের উপস্থাপনের দক্ষতা খুবই অবাক করার মত। যেমন সুন্দর গান ও অভিনয় করেন তেমন সুন্দর উপস্থাপনা ও করে থাকেন। তার উপস্থাপনা দেখে সবাই মুগ্ধ। তাহসান খানকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করতে দেখা যায়। তিনি যেসব প্রোগ্রাম উপস্থাপনা করেছেন তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হল ভালোবাসার গল্প, দীপিকা আসছে ঢাকায়, লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ও ঈদ আনন্দে সুরের ছন্দে ইত্যাদি অনুষ্ঠানের। বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা দীপিকা অংশগ্রহণের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে তাক লাগিয়ে দেন তাহসান। তাছাড়া তাহসানকে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের প্রোগ্রামের বিচারক হিসেবে ও দেখা গিয়েছে ২০১৪ সালে।

তাহসান খানের পুরস্কার ও সম্মাননা

তুই চাইলে গানের জন্য পপুলার গানের ক্যাটাগরিতে তাহসান সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস জিতেন। তার ক্যারিয়ার সেরা গানের মধ্যে একটি ছুয়ে দিলে মন, সেই গানটির জন্য তিনি শ্রষ্ঠ গায়ক হিসেবে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পান। তাছাড়া আরো কয়েকবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য তিনি মনোনীত হন। তিনি আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডের জন্য ও মনোনীত হন।

তাহসান খানের সোসালমিডিয়া প্রোফাইলঃ

ফেইসবুক প্রোফাইল

ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল

টুইটার প্রোফাইল 

ইউটিউব