You are currently viewing পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জীবনী ও রাজনীতি
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ

পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জীবনী ও রাজনীতি

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ছিলেন বাংলার সাবেক রাষ্ট্র প্রধান, সেনা প্রধান, রাজনীতিবিদ। তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক নতুন যুগে পদার্পণ করে। এরশাদের শাসনআমলকে এক নায়ক তন্ত্রের সাথে তুলনা করলেও গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন তাঁর মাধ্যমেই হয়। তিনি সেনা প্রধান থাকা কালে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহন করেন এবং সামরিক শাসন জারি করেন। দীর্ঘ ৯ বছর দেশের রাষ্ট্র প্রধানের ক্ষমতায় ছিলেন। এ সময় তিনি জাতীয় পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন ও করেন। তাঁর শাসনামলে তিনি যেমন সকলের জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তেমনি আস্থা সঙ্কটে ও পড়েছিলেন। মোকাবেলা করেছিলেন অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাই গুঁড়ির কুচবিহার জেলার দিনহাটা শহরে ১৯৩০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী জন্ম গ্রহন করেন।তাঁর বাবার নাম মুহাম্মাদ মকবুল হুসেইন ও মায়ের নাম বেগম মাজিদা খাতুন। তিনি ছিলেন পরিবারের বুড় ছেলে। তাঁকে পরিবারের সবাই আদর করে ডাকতেন ‘পেয়ারা’ বলে। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ভারতের কুচবিহার জেলায়। পরবর্তীতে তিনি নানা বাড়ি বাংলাদেশ এ চলে আসেন।

খেলাধুলা

শৈশবকাল থেকেই তাঁর ছিল খেলাধুলার প্রতি আলাদা ঝোঁক। জি.এম.কাদেরের ভাষ্য মতে,’ ফুটবল খেলা তাঁর প্রিয় ছিল, এমনকি তিনি রংপুর অঞ্চলে ফুটবলার হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন।‘ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তাঁর ছাত্রজীবনে ফুটবলার হিসেবে বেশ নাম কুড়িয়েছেন। পাড়ার ক্লাবেও ছিল তাঁর বেশ নাম ডাক। এমনকি বিভিন্ন ক্লাবে তিনি ভাড়ায় ফুটবল খেলতেন। ফুটবল খেলায় তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে।

হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের সাহিত্য

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ছিলেন বহুমুখি প্রতিভার অধিকারি। তিনি খেলাধুলায় যেমন ছিলেন দক্ষ তেমন সাহিত্য কর্মেও ছিলেন পটু। খেলাধুলার পাশাপাশি তিনি লেখালেখিও করতেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি কবিতা লেখতেন। তাঁর লেখা ছাপা হতো বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজের সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি সাহিত্য কর্মে ছাত্রজীবন হতেই নিয়মিত ছিলেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা কালে তাঁর অনেক কবিতাই পত্রিকায় প্রকাশ হতো। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর অনেক কবিতা ছাপা হয়েছিল। এতে তাঁকে নিয়া অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়, যদিও তাতে তিনিন মোটেও কর্ণপাত করেন নি। এমনকি পরবর্তীতে কয়েকটি কবিতার বইও প্রকাশ করেন তিনি। ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ নামে একটি আত্নজীবনী ও লেখেন তিনি। তার লেখা পাঠক সমাজে বেশ জনপ্রিয় ছিল।

এরশাদের ছাত্রজীবন

 হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ছাত্র জীবন কেটেছে ভারত এর কুচবিহার জেলায়। পরবর্তীতে তিনি নানার বাড়ি রংপুর চলে আসেন এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ এ উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক সম্মান লাভ করেন। তিনি পেশা হিসেবে ওকালতি কে বেছে নিতে চেয়েছিলেন। তাঁরই প্রেক্ষিতে তিনি ল’কলেজ এ ভর্তি হন।কিন্তু ১৯৫২ সালে আইন পরা চলাকালীন তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়ে যান। এবং নিজের উকিল হওার স্বপ্ন অসম্পূর্ণ রেখেই তিনি সেনা বাহিনীতে যোগ দেন।

বেগম রওশন এরশাদ এর সাথে বিবাহ

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সামরিক বিভাগে চাকরিরত অবস্থায় বাংলাদেশ এর ময়মনসিংহ জেলার মেয়ে বেগম রওশন এরশাদ ডেইজি কে ১৯৫৬ সালে বিবাহ করেন।সেনা কর্মকর্তা হওয়ায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হতো। যার কারনে পড়াশোনার জন্যই স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ কে বাবার বাড়ি ময়মনসিংহে রাখতে হয়ে ছিল।এ সময় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও স্ত্রী রওশন এরশাদ একে অপরের সাথে চিঠির মাধ্যমে আলাপ করতেন। দীর্ঘ ১ বছর পর চিঠির আলাপ ইতিটানে।

হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের সামরিক জীবন

১৯৫১ সালে এরশাদ কোহাটে অবস্থিত পাকিস্তান সেনা বাহিনীর অফিসার্স ট্রেনিং স্কুলে যোগ দেন। এক বছর যেতে না যেতেই তিনি কমিশন র্যাঙ্ক প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তিনি (১৯৬০-১৯৬২) অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে চট্টগ্রাম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ৫৪ বিগ্রেডিয়ার মেজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি পরের বছরই পদন্নতি পেয়ে লেফটেনেন্ট কর্নেল হন। এর পর পরই ১৯৬৯-১৯৭০ সালে ৩য় ও ১৯৭১-১৯৭২ সালে ৭ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টেরে অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে বংলাদেশে চলে আসেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

এ সময় তাঁর পদবি ছিল অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল। একই বছর ১২ই ডিসেম্বর তিনি কর্নেল এ পদান্নিত হন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৬ সালে কর্নেল হতে বিগ্রেডিয়ার পদে পদান্নিত হন এবং ভারতে প্রশিক্ষণ এর জন্য চলে যান। প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তিনি মেজর জেনারেল পদে পদান্নিত হন। পরবর্তীতে তিনি উপ সেনা প্রধান পদে নিয়োগ পান। সামরিক অভ্যুত্থানের পর পর তিনি দেশে বার্তা পাঠান। যেখানে তিনি দেশে ফিরতে চান বলে জানান। তাঁর বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৮ সালে তাঁকে লেফটেনেন্ট জেনারেল হিসেবে পদন্নতি দিয়ে দেশে আনা হয়। একই বছর তিনি সেনা প্রধান হিসেবে তাঁর নতুন দায়িত্ব বুঝে পান।

জেনারেল হতে রাজনিতিবিদ

১৯৮১ সালের ৩০ শে মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর মৃত্যুর ২মাস পরপরই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর রাজনৈতিক অভিপ্রায় প্রকাশ পায়। জিয়াউর রহমান এর মৃত্যুর পর তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান। কিন্তু ২মাস যেতে না যেতেই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পরিকল্পনার মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার কে ক্ষমতাচ্যুত করেন। এবং ১৯৮২ সালের ২৪ শে মার্চ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে।

তিনি ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতায় থাকা কালীন সময় তিনি উপজেলা পর্যায় নির্বাচন পদ্ধতি চালু করেন এবং ১৯৮৬ সালে নির্বাচন উপজেলা পর্যায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি গঠন করেন। যা ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করে এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

এরশাদের পতন

১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জামায়াত অংশগ্রহণ করে। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই একতরফা নির্বাচন কে বয়কট করে। এরশাদ এই সরকার ১ বছর টিকেছিল। পরবর্তীতে বয়কট এর তোপে পরে ১৯৮৮ সালে পুনরায় নির্বাচন করলেও টা টিকেনি। এমনকি ২বছরের মাথায় ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর পতন হয়।

কারাবন্দী জীবন

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপর পরই ১৯৯১ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বি এন পি সরকার তাঁর বিরুধে ডজন খানেক মামলা করে। এ সময় জেলে থেকেই তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচন এ অংশ গ্রহন করেন এবং রংপুর-৫ আসনে নির্বাচিত হন। আবার ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন। কিন্তু আদালতের রায়ে দণ্ডিত থাকায় তাঁর আসন বাতিল হয়ে যায়।

বিদিশা ইসলাম এর সাথে বিয়ে

 হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ২য় স্ত্রী হলেন বিদিশা এরশাদ। ১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্স এ বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রদূত এর বাসায় ডিনার পার্টি তে বিদিশা ইসলাম এর সাথে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর পরিচয় হয়।  সেখানে এরশাদ নিজেই বিদিশার নম্বর চেয়ে নেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ বাড়তে থাকে এবং পরিচয় প্রনয়ের রূপলাভ করে। এ সময় বিদিশা তাঁর ১ম স্বামী পিটার উইসন এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে গোপনে এরশাদ কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে ২৭ মার্চ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বিদিশা ইসলাম প্রকাশে বিয়ে করেন। যদিও এ সংসার কয়েক বছর পরই ইতি টানে।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যখন আস্থাহীন

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যখন জেল থেকে খালাশ পায় তখন তাঁর ওপর আরোপিত মামলার কতগুলোতে তিনি দোষী প্রমাণিত হন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় পার্টি দল হিসেবে জায়গা বানাতে পারলেও তিনি মানুষের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হচ্ছিলেন না। তাঁর দফায় দফায় সিদ্ধান্ত পাল্টানো যেন মানুষ কে বিব্রত করছিল। এমনকি তিনি নিজ দলের উত্তরসূরি নির্বাচনেও কয়েকবার সিদ্ধান্ত বদল করেন।

তিনি ২০১৯ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সময় দলের সিনিয়র কো -চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব জি. এম. কাদেরকে দিয়ে যান। কয়েকমাস পর দেশে ফিরে তিনি এই দায়িত্ব তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ কে দেন । এর কয়েকদিন পরই এক সংবাদ সম্মেলন এ দায়িত্ব পুনরায় জি. এম. কাদের কে দেন। এ নিয়ে দলের ভেতরেই দন্দ তৈরি হয়।

দেশের উন্নয়নে এরশাদ এর অবদান

দেশের উন্নয়নে এরশাদ এর অবদানঃ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর শাসনামলে,

• উপজেলা পরিষদ গঠন করা হয়, তাঁর শাসনামলে উপজেলা পরিষদ এর নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়।
• জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সৈন্য পাঠিয়ে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে।
• রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম হওয়ায় ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা করা হয়।
• ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও আরো অন্যান্য উপাসনালয় এর বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ করা হয়।

• হাইকোর্টের বেঞ্চ সম্প্রসারন করা হয় পাশাপাশি বিচারকার্য দ্রুত করার আদেশ জারি করেন।
• গণমাধ্যমের উন্নয়ন এর ব্যাবস্থা করেন, জাতীয় প্রেস কমিশন গঠন করেন, ডি বাংলাদেশ অবজারভার এর মালিকানা ফিরিয়া দেন এবং গণমাধ্যমের জন্য ট্রাষ্ট গঠন করেন।
• বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেন। এতে দালাল দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে গিয়েছে।
• বাংলাদেশ অভারসিস এমপ্লয়মেন্ট নামে পাবলিক কম্পানি গঠন করেন।

• গৃহ ও গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করেন। পাশাপাশি পৌরসভা উন্নয়ন করেন।
• পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসিদের অভিবাসন এর সুযোগ করে দেন।
• কৃষি খাত এর উন্নয়ন এর জন্য কৃষি ঋণ এর সুযোগ করে দেন।
• ইটের ভাটায় ব্যবহারের নির্দেশ দেন যাতে বৃক্ষ নিধন রোধ করা যায়।

• কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিনিত করতে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ছিলেন।
• জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা বুঝতে পেরে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু করেন,পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করেন।
• উপজেলা পর্যায় ৩৯৭ টি উপজেলার ৩৩৩ টি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গঠন নির্মাণ করে এবং তাতে ডাক্তার নিয়োগ দিয়া পল্লী গ্রামে সু-চিকিৎসার সুযোগ করে দেন।পাশাপাশি হাসপাতালে ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি করেন।
• ফসলের চাষাবাদ ব্রিদ্ধিতে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।

• প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করেণ, প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন।তার আমল থেকেই বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়।
• তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় করণের ব্যপারেও অনেক গুরুত্ব দেন।পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমান এর নামে হোস্টেল নির্মাণ করেন।
• যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর অবদান অনস্বীকার্য ।তিনি ঢাকা- মাওয়া বিকল্প সড়ক, বুরিগঙ্গা নদির ওপর সেতু নির্মাণ, মেঘনা- গোমতী সেতু নির্মাণের সিধান্ত চূড়ান্তকরণ করেন। এমনকি তাঁর ২ বছরের শাসনামলে ২০৬ টি সড়ক যোগাযোগ এর আওতায় আনেন।

• তিনি শাহাজালাল বিমান বন্দরে ভি আই পি টার্মিনাল নির্মাণ করেন, রাজশাহী বিমান বন্দর এর কাজ শেষ করেন এবং সিলেট ওসমানী বিমান বন্দর সম্প্রসারন করেন। এমনকি বাংলাদেশ এর বিমান সমৃদ্ধি আনতে বিমান ক্রয় করেন।
• তিনি সল্প সময়ে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন।
• বায়তুল মোকাররম মসজিদ সম্প্রসারন করেন,তিন নেতার মাজার নির্মাণ সম্পন্ন করেন।

ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে তিনি অনেক অবদান রেখেছেন। তাঁর ৯ বছরের শাসন আমলে তিনি দেশের সর্বক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এবং দেশের উন্নয়ন অনেক সম্প্রসারিত করেছেন।

মৃত্যু

বয়স বৃদ্ধির কারনে শারীরিক অসুস্থতা এই প্রানবন্ত নেতাকে ঝেঁকে বসে।তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিন এর স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ, কিডনি জটিলতা ইত্যাদি রোগ বাসা বাঁধতে থাকে। তাঁকে ২০১৯সালের ২৬ শে জুন ধাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৪জুলাই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন। পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কে রংপুরে তাঁর বাবার কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।