You are currently viewing সাকিব আল হাসানের জীবনী ও ক্রিকেট ক্যারিয়ার
সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসানের জীবনী ও ক্রিকেট ক্যারিয়ার

সাকিব আল হাসান – যিনি বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডার ক্যাট একজন বাংলাদেশি ক্রিকেট যোদ্ধা। বিশ্ব ক্রিকেট যোদ্ধের ময়দানে যিনি বাংলাদেশকে চিনিয়েছে এক নতুন রূপে, তিনি আর কেউ নন আমাদের দেশের ক্রিকেট যোদ্ধা সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)

আজকের আর্টিকেলে আমরা ক্রিকেট যোদ্ধা সাকিব এর জীবন কাহিনী সম্পর্কে সহজ ভাষায় জানার চেষ্টা করবো। যদি আপনি একজন ক্রিকেট প্রেমী হয়ে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই তার জীবন কাহিনী সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। চলুন তবে শুরু করা যাক সাকিব আল হাসানের বায়োগ্রাফি (Shakib Al Hasan Biography)

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের শ্রেষ্ট ক্রিকেট যোদ্ধা তিনি। শুধু বাংলাদেশ বলে নয়, পুরো বিশ্বে এমন সাকিব যোদ্ধা জন্মাতে যে কত বছর ক্রিকেট প্রেমীদের অপেক্ষা করতে হবে সেটা কেউ জানেন না। তিনি বাম হাতে ব্যাটিং করেন এবং বল হাতেও তিনি বাম হাতি স্লো অর্থোডক্স। ব্যাট, বল, ফিল্ডিং এবং অধিনায়কত্ব সবদিকেই যেনো এক্সপার্ট ছিলেন, তাইতো বিশ্বে খ্যাতি লাভ করেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে। আজ তিনি শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে নয় বরং জায়গা করে নিতে পেরেছেন পুরো বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের মনে। তাকে বলা হয় বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের একমাত্র সূর্য।

সাকিব আল হাসানের জন্ম

সাকিব এর জন্ম হয় ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ তারিখে বাংলাদেশের খুলনা সংক্রান্ত মাগুরা জেলায়। সে অনুসারে তার বর্তমান বয়স হলো ৩৪ বছর। সাকিবের ডাকনাম হচ্ছে ময়না। তার উচ্চতা হচ্ছে ০৫ ফুট ০৯ ইঞ্চি, (১.৭৫ মিটার)।

একনজরে সাকিব আল হাসান

মূল নামঃ সাকিব আল হাসান


ডাক নামঃ ফয়সাল


ক্রিকেটে ডাক নামঃ ময়না


উপাধিঃ বাংলাদেশের জান বাংলাদেশের প্রাণ


জন্মঃ ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ


জন্মস্থানঃ মাগুরা, খুলনা


উচ্চতাঃ ৫ ফুট ০৯ ইঞ্চি


পিতাঃ মাশরুর রেজা


মাতাঃ শিরিন শারমিন


স্ত্রীঃ উম্মে আহমেদ শিশির


বড় মেয়েঃ আলাইনা হাসান অব্রি


ছোট মেয়েঃ ইররাম আল হাসান


ছেলেঃ ইজাহ আল হাসান

 

চোখার কালারঃ কাল


পেশাঃ খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী


ধর্মঃ ইসলাম


জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী


টেস্ট অভিষেকঃ ২০০৭ সালের ১৮ মে


ওডিয়াই অভিষেকঃ ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট


টি২০ অভিষেকঃ ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর


প্রিয় কোচ দেশীঃ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনঅ, নাজমুল আবেদিন ফাহিম


প্রিয় কোচ বিদেশীঃ জেমি সিডন্স, ডেভ হোয়াট্মোর


প্রিয় ঘুরার জায়গাঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ


প্রিয় প্রতিষ্ঠানঃ বিকেএসপি


প্রিয় খেলোয়াড়ঃ লিওলেন মেসি


প্রিয় ফুটবল দেশঃ আজেন্টিনা


প্রিয় ফ্রান্জাইজিঃ কলকাতা নাইট রাইডাস

প্রতিষ্ঠাতাঃ মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমি

সাকিব আল হাসানের প্রাথমিক ক্যারিয়ার

সাকিব তার ছোটবেলা থেকেই একটি ক্রিয়া পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠতে থাকেন। খুলনা বিভাগীয় দলের তার পিতা মাশরুব রেজা ফুটবল খেলতেন। আর এর ফলে তার পিতা তাকে ফুটবল খেলার প্রতি অনেক উৎসাহ প্রদান করতেন এবং ফুটবল খেলার জন্য কখনো বাধা দিতেন না।

সাকিবও একটা সময় ফুটবলকে ঘিরে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল। ১৯৯৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ কেনিয়াকে পরাজিত করলে ক্রিকেট এর প্রতি তার ভালোবাসা ও ভালোলাগার পরিমান বাড়তে থাকে। ঠিক সে সময়টা থেকে সাকিব নিয়মিত ক্রিকেট খেলা প্রেকটিস করতে শুরু করলেন।

কিন্তু সাকিবের পরিবার অর্থাৎ তার বাবা মা এটা কখনোই চাননি যে তার সন্তান খেলাধুলার দিকে মনোনিবেশ করুক। তারা চেয়েছিলেন সাকিব ডক্টর বা ইঞ্জিনিয়ার এর মত উচ্চ পদস্থ কোনো ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করুক।

কিন্তু ক্রিকেট তার মনে এতটাই ভালোবাসার সৃষ্টি করেছিল যে সে তার শখের প্রতি অটুট ছিলেন। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ক্রিকেট খেলায় অনেক দক্ষ হয়ে উঠেন। শুরুর দিকে তিনি ক্রিকেট দুনিয়ায় এসেছিলেন একজন পেসার হিসেবে।

বিভিন্ন গ্রাম্য ক্রিকেট টুর্নামেন্টে তাকে চুক্তিবদ্ধ করে নিয়ে যাওয়া হতো খেলার জন্য। ২০০১ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া কালীন ঠিক এমন এক ধরনের টুর্নামেন্টে তিনি বিধ্বংসী বোলিং এবং বিধ্বংসী ব্যাটিং করে তিনি উক্ত ম্যাচের আম্পায়ার সাদ্দাম হোসেনের নজরে আসতে সক্ষম হয়।

সাদ্দাম হোসেনের পরামর্শে সাকিব মাগুরার ইসলামপুর পড়া স্পোর্টিং ক্লাবে খেলা শুরু করেছিলেন। উক্ত ক্লাবে খেলা শুরুর পর থেকে তিনি স্পিন বোলিং প্রেকটিস করা শুরু করেন।

আরো পড়ুনঃ মাশরাফির জীবনী

সাকিব আল হাসানের স্বপ্নের শুরু যেখান থেকে

সে বছরে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) তে প্রতিভা অন্বেষণ শুরু হয়েছিল। সাকিব মাগুরা জেলার হয়ে নড়াইল ক্যাম্পেইন এর জন্য মনোনীত হন। এই নড়াইল ক্যাম্পেইন এর মদ্ধে সাকিব সহ আরো ২০ জন ক্রিকেটার এর সুযোগ হয়েছিল।

সে সময়ে তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ বিকেএসপির তৎকালীন ক্রিকেট প্রশিক্ষক আশরাফুল হক বাপ্পী এবং তার কোচ সাদ্দাম হোসেনের পরামর্শে বিকেএসপি তে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

এই সময়ে সাকিবের পরিবার থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। সাকিবের পিতা মাতা সাকিবকে বিকেএসপি তে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সম্মতি প্রদান করে। আর এর পর থেকে শুরু হয় তার নতুন পথচলা।

২০০৪ সালের দিকে যখন তার বয়স মাত্র ১৭ বছর তখন খুলনা বিভাগের হয়ে তার ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। বিকেএসপি তে ভর্তি হওয়ার পরবর্তী বছরে ২০০২ সালের দিকে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলে।

২০০৫ সালে সংগঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব – ১৯ দলের ইংল্যান্ড এবং শ্রীলংকা দলের সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মাত্র ৮৬ বলে তুলে নিজ সেঞ্চুরি এবং শিকার করে ৩ টি উইকেট, আর এই বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে তিনি সবার নজর কাড়েন।

২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে এক বছরে তিনি অনূর্ধ্ব – ১৯ ক্রিকেট দলের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ১৮ টি। তিনি মোট ৫৬৩ রান সংগ্রহ করেন ৩৫.১৮ গড়ে এবং মোট উইকেট শিকার করে ২২ টি ২০.১৮ গড়ে।

তাছাড়া সাকিব বয়সভিত্তিক দল অর্থাৎ অনূর্ধ্ব -১৫, অনূর্ধ্ব -১৭, অনূর্ধ্ব -১৯ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং নিজের প্রতিভার প্রমাণও দিতে পেরেছিলেন।

ত্রিদেশীয় সিরিজে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি তৎকালীন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের নজরে এসেছিলেন। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান

২০০৬ সালের ৬ আগস্ট সিরিজের ৫ম ওডিআইতে ফলে জায়গা পেয়েছিলেন সাকিব। আর এর মধ্য দিয়ে ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ময়দানে তার অভিষেক সূচনা হয়েছিল। সে ম্যাচে ৩০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন এবং তিনি ৩৯ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন ১ টি উইকেট।

কেবল একটি ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী মাসেই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। আর এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর তারিখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায় তার টি২০ তে অভিষেক হয়েছিল।

২০০৭ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ আয়োজিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্ব কাপ ২০০৭ এ হাবিবুল বসার এর নেতৃত্বে ১৫ জলের ক্রিকেট দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি।

২০০৭ বিশ্বকাপের এই টুর্নামেন্টে সাকিব ৯ কাছে ২৮.৮৬ গড়ে ২০২ দান এবং ৪৩.১৪ গড়ে ৭ টি উইকেট শিকার করেন। সে বছরে মে মাসে দুটি টেস্ট এবং তিনটি ওডিআই খেলতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ভারত ক্রিকেট দল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১৮ মে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়।

কিন্তু অভিষিক্ত এই ম্যাচকে স্মরণীয় করতে অক্ষম হয়েছিল সাকিব। এক ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তিনি নিয়েছিল কেবল ২৭ রান এবং ১৩ অভার বোল করে উইকেট শুন্য থাকেন। কিন্তু এরপর থেকে সাকিব বাংলাদেশে সব ধরনের ক্রিকেট ফরমেটে নিয়মিত হয়ে উঠেন।

সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা কতৃক আয়োজিত প্রথম আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ দলে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন। প্রথম রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে সাকিব শিকার করেছিল ৪ টি।

আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক শিকার করা ব্যাটসম্যানের মধ্যে একজন ছিল সাকিব। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি কীর্তি গড়েন। সে বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল তিন ওডিআই এবং দুটি টেস্ট সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড যায়।

এই টেস্ট ছিল সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪র্থ টেস্ট। কিন্তু এই টেস্ট এর আগে কোনো ম্যাচেই তিনি কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি। এই টেস্ট সিরিজে প্রথম টেস্ট ম্যাচে উইকেট নেওয়ার মধ্যে দিয়ে টেস্ট উইকেট এর খাতা খুলেন তিনি।

২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২ টি টেস্ট এবং ৩ টি ওডিআই সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল আসে বাংলাদেশে। ৩ ওডিআই সিরিজের মধ্য দিয়ে ৩৫.৩৭ ব্যাটিং গড়ে ১০০০ রানের মাইফোলোকে পৌঁছে যান সাকিব।

আর এরই ধারাবাহিকতায় সাকিব আল হাসান হয়ে উঠতে থাকেন মিডল অর্ডার এর একজন অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। কিন্তু সে সময়ও তাকে বলে হিসেবে গণ্য করা হতো না। ২০০৮ সালে সালে পুনরায় বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল , আর এই পুরো সিরিজ এর মাধ্যমে সাকিব নির্ভরযোগ্য বলার হিসেবে টেস্ট খেলতে শুরু করেন।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট শিকার করেন তিনি। তখন পর্যন্ত এই পারফরমেন্স ছিল বাংলাদেশি কোনো বলার এর সবচেয়ে সেরা পারফরমেন্স। সে সিরিজে সাকিব ১০ টি উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা বলার নির্বাচিত হয়।

এভাবে ক্রমশ সাকিব আল হাসান তার অল রাউন্ড পারফরমেন্স এর দরুন হয়ে উঠেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব আল হাসানের পরিবার

সাকিবের পিতার নাম হচ্ছে খন্দকার মাশরুব রেজা। তার পিতা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার মাতার নাম হচ্ছে শিরিন রেজা। তার মাতা ছিলেন একজন গৃহিণী। সাকিবরা ছিলেন দুই ভাই বোন। তাদের দুই ভাই ও বোনের মধ্যে বড় ছিলেন সাকিব। সাকিবকে পুরো দেশ ও বিশ্বব্যাপী সাকিব আল হাসান নামে চিনলেও তিনি তার পরিবারে ফয়সাল নামেই বেশি পরিচিত।

বৈবাহিক জীবন

সাকিব আল হাসানের স্ত্রীর নাম উম্মে আহমেদ শিশির। তাদের পরিচয় হয়েছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর দ্বারা। পারিবারিক সম্মতিতে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর তারা বিবাহের বন্দনে আবদ্ধ হন। ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর তারিখে সাকিব শিশির এর ঘর আলোকিত করে জন্ম হয় তাদের কন্যা আলায়নার হাসান অব্রি। ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল সাকিব ও শিশির এর ঘরে জন্ম হয় তাদের দ্বিতীয় কন্যা সন্তান ইরাম আল হাসান এর। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তাদের তৃতীয় পুত্র সন্তান এইজাহ আল হাসান এর জন্ম হয়।

সাকিব আল হাসানের শিক্ষাগত যোগ্যতা

ক্রিকেট এর প্রতি তার ভালোলাগা এবং ভালোবাসার উৎপত্তি হওয়ার পর থেকে গদবাধা পড়াশোনার উপরে খুব একটা আগ্রহ ছিলনা। ক্রিকেট খেলেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দিতেন। ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকতেন সারাদিন। তবুও তিনি তার লেখাপড়াটা চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সাকিব বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ” থেকে গ্রেজুয়েশন করেছেন।

সাকিব আল হাসানের মাসিক আয়

অসংখ্য সাকিব ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন যে সাকিবের মাসিক আয়ের পরিমাণ কত। তিনি প্রতি বছর কত টাকা আয় করে থাকেন।

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন দেওয়া হয় গ্রেড হিসেবে। যেমন; এ+, এ, ইত্যাদি গ্রেড হিসেব করে বেতন দেওয়া হয় থেকে। প্রবাসীর দিগন্ত সাইটের তথ্য অনুসারে জাতীয় দলের এ+ ক্যাটাগরির একজন ক্রিকেটারের বেতন ৮ লক্ষ টাকার অধিক। সে অনুসারে আপনারা ধারণা করতে পারেন শুধু জাতীয় দল থেকে তার মাসিক ইনকাম ৮ লক্ষ টাকা।

কিন্তু এটা শুধু জাতীয় দলের মাসিক আয়ের হিসাব। সাকিব বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রতি মাসে আয় করে থাকে। বিভিন্ন প্রিমিয়ার লীগ, বিজ্ঞাপন, দেশীয় লীগ, বিভিন্ন কোম্পানি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে সাকিবের প্রতি মাসের আয় হয়ে থাকে। আইপিএলে খেলার জন্যও তিনি বেশ চড়া মূল্য নিয়ে থাকেন।

প্রতি মাসে তিনি কত টাকা উপার্জন করে থাকেন এর নিখুঁত তথ্য আপনি অনলাইনে পাবেন না। তবে ধারণা করে নিতে পারেন। একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে তার বাৎসরিক আয় প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার মতো। সে অনুসারে তার মাসিক আয় প্রায় ২৩ কোটি টাকার মতো। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন খাতে তার অর্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন।

শেষ কথাঃ সাকিব আল হাসানের বয়স হয়ে যাচ্ছে। বেশিদিন হয়ত ফর্মে থাকবে না। তবে থাকবেন হাজারো মানুষের হৃদয়ে। আজকের তরুন প্রজন্ম , যারা তাঁর খেলা দেখে বড় হয়েছে তাদের স্মৃতির মনিকোঠায়।

 

সাকিব আল হাসানের সোসাল মিডিয়াঃ

ফেইসবুক

টুইটার