You are currently viewing নায়িকা সাদিকা পারভিন পপির জীবনী ও সিনেমা
পপি

নায়িকা সাদিকা পারভিন পপির জীবনী ও সিনেমা

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পপি, পুরো নাম সাদিকা পারভিন পপি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অঙ্গনের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী। বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল পপি ১৯৯৫ সালে লাক্স আনন্দ বিচিত্রা নামে একটি শোবিজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তার মিডিয়া ক্যারিয়ার শুরু করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই গুণী অভিনেত্রী ১০-০৯-১৯৭৯ সালের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান খুলনার ডুমুরিয়ায়। যদিও সাদিকা পারভিন এর প্রথম বাংলাদেশী ছবি ছিল মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি। কিন্তু কুলির আগে আমার ঘরের অমর বেহেশত মুক্তি পায়।

এক নজরে নায়িকা পপি

মূল নামঃ সাদিকা পারভিন পপি

ডাক নামঃ পপি

জন্মঃ ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯

জন্মস্থানঃ খুলনা, বাংলাদেশ

লিঙ্গঃ নারী

ভাষাঃ বাংলা

বৈবাহিক অবস্থাঃ অবিবাহিত

সাবেক বয়ফেন্ডঃ জায়েদ খান

পিতাঃ জানা নেই

মাতাঃ জানা নেই

ভাই-বোনঃ ৬

পেশাঃ মডেল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী

চলচ্চিত্রে অভিষেকঃ ১৯৯৭

অভিষেক চলচ্চিত্রঃ আমার ঘর আমার বেহেশত

প্রথম পরিচালকঃ সোহানুর রহমান সোহান

প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাঃ কুলি

প্রথম হিরোঃ ওমর সানী

ধর্মঃ ইসলাম

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী

উচ্চতাঃ ৫ ফু ৮ ইঞ্চি

হিপ আকারঃ ৪০

চুলের কালারঃ কাল

চুখের কালারঃ ব্রাউন

শরীরের কালারঃ ফর্শা

কুলি ছবিটি ছিল সুপারহিট সিনেমা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাষ্টিতে কুটি  সিনেমাটি মনে রাখার মত সিনেমা। কুলি বাংলা সিনেমাতে ইতিহাস শিষ্টি করেছিল। তখন সবার মুখে মুখে এই সিনেমার নাম শুনা যেত। সবাই এই সিনেমার ডায়লগ বলতে থাকত। দেশ সেরা এই অভিনেত্রী প্রায় দেড় শতাধিক বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আধুনিক জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতাদের অধিকাংশই অভিনেতা বা নায়ক তার সাথে ছবিতে অভিনয় করেছেন।

পপি অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ

১। সিনেমা কুলি নির্মাণ করেন মনতাজুর রহমান আকবর ১৯৯৭ সালে
২। সিনেমা আমার ঘর আমার বেহেশত নির্মাণ করেন সোহানুর রহমান সোহান ১৯৯৭ সালে
৩। সিনেমা বিদ্রোহ চারিদিকে নির্মাণ করেন মহম্মদ হাননান ১৯৯৮ সালে
৪। সিনেমা কে আমার বাবা নির্মাণ করেন মনতাজুর রহমান আকবর ১৯৯৯ সালে
৫। সিনেমা লাল বাদশা নির্মাণ করেন মালেক আফসারী ১৯৯৯ সালে
৬। সিনেমা দুজন দুজনার নির্মাণ করেন আবু সাঈদ খান ২০০০ সালে
৭। সিনেমা জানের জান নির্মাণ করেন মোস্তাফিজুর রহমান ২০০০ সালে
৮। সিনেমা হীরা চুনি পান্না নির্মাণ করেন মালেক আফসারী ২০০০ সালে
৯। সিনেমা ক্ষেপা বাসু নির্মাণ করেন কমল সরকার ২০০২ সালে
১০। সিনেমা বিশ্ব বাটপার নির্মাণ করেন বাদল খন্দকার ২০০২ সালে

১১। সিনেমা ওদের ধর নির্মাণ করেন বাবুল রেজা ২০০২ সালে
১২। সিনেমা কঠিন সীমার নির্মাণ করেন মনতাজুর রহমান আকবর ২০০২ সালে
১৩। সিনেমা কারাগার নির্মাণ করেন কালাম কায়সার ২০০৩ সালে
১৪। সিনেমা ক্ষমতার দাপট নির্মাণ করেন এ জে রানা ২০০৩ সালে
১৫। সিনেমা বস্তির রানী সুরিয়া নির্মাণ করেন মনতাজুর রহমান আকবর ২০০৪ সালে
১৬। সিনেমা মান্না ভাই নির্মাণ করেন এফ আই মানিক ২০০৪ সালে
১৭। সিনেমা বিষাক্ত চোখ নির্মাণ করেন মাসুম পারভেজ রুবেল ২০০৫ সালে
১৮। সিনেমা সিটি টেরর নির্মাণ করেন মাসুম পারভেজ রুবেল ২০০৫ সালে
১৯। সিনেমা প্রেম করেছি বেশ করেছি নির্মাণ করেন বাদল খন্দকার ২০০৫ সালে
২০। সিনেমা বিদ্রোহী পদ্মা নির্মাণ করেন বাদল খন্দকার ২০০৫ সালে

২১। সিনেমা রানীকুঠির বাকী ইতিহাস নির্মাণ করেন সামিয়া জামান ২০০৬ সালে
২২। সিনেমা মেঘের কোলে রোদ নির্মাণ করেন নারগিস আক্তার ২০০৮ সালে
২৩। সিনেমা কি যাদু করিলা নির্মাণ করেন রিয়াজ ও মীর সাব্বির ২০০৮ সালে
২৪। সিনেমা মায়ের স্বপ্ন নির্মাণ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন ২০০৮ সালে
২৫। সিনেমা গঙ্গাযাত্রা নির্মাণ করেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড ২০০৯ সালে
২৬। সিনেমা গার্মেন্টস কন্যা নির্মাণ করেন জী সরকার ২০১২ সালে
২৭। সিনেমা চার অক্ষরের ভালোবাসা নির্মাণ করেন জাকির খান ২০১৪ সালে
২৮। সিনেমা দুই বেয়াইয়ের কীর্তি নির্মাণ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন ২০১৫ সালে
২৯। সিনেমা পৌষ মাসের পিরীত নির্মাণ করেন নারগিস আক্তার ২০১৬ সালে
৩০। সিনেমা দি ডিরেক্টর নির্মাণ করেন কামরুজ্জামান কামু ২০১৯ সালে

আরো পড়ুনঃ নায়িকা শাবনূরের জীবনী

সাদিকা পারভিন এর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গুনী ও সাহসী অভিনেত্রী পপি বেশ কয়েক বার বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। অসংখ্য সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেত্রী প্রথম বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় ২০০৩ সালে। কারাগার নামক সুপার হিট সিনেমার জন্য তিনি এই পুরস্কার পায় প্রথম বার।  তিনি তার পরের বছর ২০০৪ সালেই মেঘের কোলে রূদ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। সর্বশেষ গঙ্গাজাত্রা চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রীর জন্য বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ২০০৯ সালে। তাছাড়া এই গুনী অভিনেত্রী বেসরকারীভাবে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি কত মেধাবী অভিনেত্রী ছিলেন তা কোন পুরস্কার দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না।

নায়িকা পপির উল্লেখযোগ্য পুরস্কারঃ

* কারাগার সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ২০০৪ সালে
* মেঘের কোলে রোদ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ২০১০ সালে
* গঙ্গাযাত্রা সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ২০১১ সালে
* অনেক দিনের আশা সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান ১৯৯৯ সালে
* জুয়াড়ী সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান ২০০৩ সালে

* বিদ্রোহী পদ্মা সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান ২০০৭ সালে
* কি যাদু করিলা সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান ২০০৯ সালে
* গঙ্গাযাত্রা সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান ২০১৪ সালে
* মান্না ভাই সিনেমার জন্য সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে ট্রাব পুরস্কার পান ২০০৪ সালে
* গার্মেন্টস কন্যা সিনেমার জন্য সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে ট্রাব পুরস্কার পান ২০১২ সালে
* সোনাবন্ধু সিনেমার জন্য সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে ট্রাব পুরস্কার পান ২০১৮ সালে

আরো পড়ুনঃ চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির জীবনী

জনপ্রিয় এই নায়িকা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান

একজন শিল্পীর যেমন ভাল দর্শক তেমন সমালোচনা করার মত দর্শক ও আছে। একজন অভিনেত্রী চাইলেই সবার মন জয় করতে পারে না। তাই তাদের সমালোচক ও তৈরি হয়। আমরা চাই নায়িকা সম্পর্কে গঠনমূলক সমালোচনা করুন। আপনাদের গঠনমূলক আলোচনা বা সমালোচনা আমরা সবসময়ই সাপর্ট করি। তাই নায়িকা পপি সম্পর্কে আপনার গঠনমূলক আলোচনা বা সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে জানান। আমরা আপনাদের গঠনমূলক আলোচনা বা সমালোচনা পরর্যালোচনা করব।

নায়িকা পপির সোসাল মিডিয়াঃ

ফেইসবুক