You are currently viewing গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ: মাতৃত্বের স্বাদ কে না পেতে চায়? প্রত্যেক নারীই এ অমিয় স্বাদ পেতে চায়। আজ হোক কাল হোক এই স্বাদ গ্রহণ করেই একজন মেয়ে নারীত্ব রূপ ধারণ করে অথবা পূর্ণ নারী হয়। প্রত্যেকটা নারী নিজ গর্ভে অন্য একটি প্রাণ ধারণের মাধ্যমে নতুন অভিজ্ঞতায়, নতুন এক আনন্দে, তৃপ্তিতে এবং নতুন ধাপে পদচারণ করে। নিজ গর্ভে একটি প্রাণ বেড়ে উঠছে, যে কিনা সে নারীরই অংশ এ আনন্দ এবং  তৃপ্তি তারাই বুঝতে পারে যারা এই স্বাদ পেয়েছে। এই আনন্দ এবং ভালোলাগা মহামূল্যবান কিছুর ও ঊর্ধ্বে, যা কিনা চাইলেই কিনে নেওয়া যায়না, পাওয়া যায়না। শুধুমাত্র স্রষ্টাই দিতে পারে এই নিয়ামত।   

গর্ভধারণের সময়ে শরীর কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে। আর সেজন্য শরীরে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি পরিবর্তন  লক্ষণ প্রকাশ পায়। যারা প্রথমবার মা হয় তারা মূলত লক্ষণ গুলা নিয়ে কনফিউজড থাকে, ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেনা। শরীরে প্রদর্শনীয় লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রাথমিক অবস্থার একটি হলো- পিরিয়ড মিস হওয়া। সিংহভাগ মানুষ এ লক্ষণ থেকেই যাত্রা শুরু করেন বাকি লক্ষণ গুলো ম্যাচ করানোর জন্য। যদিও পিরিয়ড মিস প্রথম লক্ষণ কিন্তু এটি ছাড়াও আরো কয়েকটি লক্ষণই প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ হতে পারে।  তাছাড়া এ সপ্তাহে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ থাকেনা। অনেকে প্রথম কয়েক সপ্তাহ বুঝতেই পারেনা তাদের গর্ভে যে একটি প্রাণ বেড়ে উঠতেছে। যাইহোক, এবার আসি পূর্ণ আলোচনায়।  

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম লক্ষণ হিসেবে পিরিয়ড মিসকে ধরা হয়। কেননা এই লক্ষণ টি প্রথমে চোখে পড়ে। আবার পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ হতে পারে অথবা পিরিয়ড মিস না হয়েও গর্ভবতী হয় অনেকে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। শুরুতে আমরা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ : 

  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া : কোন নারী যখন তার মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার সময় হয় অথবা প্রেগন্যান্ট হয় তখন স্বভাবতই প্রোজেস্টেরোনের স্তর বৃদ্ধি পায়। আর এ প্রোজেস্টেরোন নামক হরমোনের বৃদ্ধির কারণে গর্ভবতী নারীর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে জ্বর হিসেবেও ধরা হয়। কিন্তু জ্বর হিসেবে তাপমাত্রা বাড়েনা বরং প্রেগনেন্সির কারণে বাড়ে। 
  • প্রেগনেন্সির শুরুর দিকে নানারকম সমস্যার মধ্যে মাথাব্যথা ও একটা গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। কারণ এ সময়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি এবং হরমোনের স্তর বাড়তে থাকে। আর তখন দুর্বলতা ও মাথাব্যথা বেড়ে যায়। 
  • গর্ভেধারণের লক্ষণ সমূহের মধ্যে স্তনের সমস্যাও লক্ষণ গুলোর একটি হতে পারে। কারণ এ সময়ে স্তন কোমল এবং স্পিত হয়, তাছাড়া বেশ স্পর্শকাতর ও হয়ে উঠে। স্তনের নিপলের রঙ গাঢ় হয় এবং নিপলের চারপাশের রঙ ও গাঢ় হয় অথবা গাঢ় দাগ দেখা দিতে পারে, স্তন ফুলে যায়, ভারী হয়ে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে। এটি মূলত গর্ভেধারণের পর কিছু হরমোন প্রবাহের কারণে হয়। আর তাছাড়া এটি গর্ভধারণের  প্রথম থেকে ২য় সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অবশ্যই প্রেগনেন্সি  টেস্ট করতে হবে। 
  • বমি: গর্ভেধারণের প্রথম থেকেই ৮০% নারীর বমির সমস্যা দেখা দেয়। আবার ৫০% নারীর গর্ভেধারণের দেড়মাস হওয়ার পর বমির সমস্যা দেখা দেয়। প্রেগন্যান্টের সময়ে অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনোর স্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে সকালে বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে আবার সকাল নয়, অনেকে দিনের যেকোন সময়েই বমি করতে থাকে। খাওয়ার আগে, খাওয়ার পরে অথবা সারাক্ষণই। বমির সমস্যা এমন এক সমস্যা যে গর্ভেধারণ কালের প্রথম সময়েই অনেকের অকারণেই বমি আসে। 
  • গর্ভ ধারণের ১০-১২ সপ্তাহর দিকে হরমোন পরিবর্তন হয়ে ডিসচার্জ হয়। আর তখন অনেক গর্ভবতী নারীর ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ হয়ে থাকে আবার অনেকের এটা দেখা যায়না। 
  • মর্নিং সিকনেস অর্থাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ মনোভাবের পরিবর্তে দুর্বল এবং ক্লান্তি বোধ দেখা দেয়। যেটা কে গর্ভধারণের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেটি মূলত গর্ভধারণের ৪ সপ্তাহ থেকে ৫ সপ্তাহ পর দেখা দেয় 
  • পিরিয়ড বন্ধ না হয়েও দুর্বল এবং ক্লান্তি ভাব দেখা দিলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো দরকার হয়ে পড়ে। এই দুর্বলতা ও গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে। তাছাড়াও পিরিয়ডের ডেট আসা ছাড়াই ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং হলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো উচিত। কেননা, ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং এবং ক্র‍্যাম্পস গর্ভেধারণের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। 
  • প্রেগনেন্সির প্রথম দিকে ভয়ানকভাবে পেটে গ্যাস সমস্যা দেখা দেয়। হরমোনের কারণে নানারকম সমস্যা দেখা দেয় আর সেগুলোর মধ্যে এগুলাও অন্যতম। কোমরের দিকের কাপড় বেশি আঁটসাঁট মনে হতে পারে কিন্তু সে সময়ে জরায়ুর বিশেষ কোন পরিবর্তনই আসেনি। এ সময়ের পেটে গ্যাস সমস্যা অনেকটা পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগের সমস্যার মত মনে হলেও এটা মূলত প্রেগনেন্সির শুরুর সময়ের সমস্যা। 
  • খাবারে অনীহা হয়ে গন্ধপ্রবন হওয়া : খাবারের চাহিদা বাড়লে তো ভালো খবর। কিন্তু খাবারে অনীহা যত সমস্যার কারণ। বেশ কিছু খাবারে মাত্রাতিরিক্ত অনীহা জন্মাবে। আর ঠিক তখন নারীরা গন্ধপ্রবন হয়ে উঠে। তখন অকারণেও গন্ধ লাগবে। খাবার বিরক্ত লাগবে। সবকিছু থেকেই গন্ধ নাকে আসবে। এগুলা কেন হয় তা জানা যায়নি তবে এস্ট্রোজেন হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এগুলা ধরা হয়। মুখে গন্ধসহ সমস্যা গুলো মূলত গর্ভধারণের নানারকম শারীরিক পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। 
  • প্রেগনেন্সির সময়ে মাথাব্যথা ও শরীর দুর্বল ছাড়াও মুড সুইং এবং মাথা ঘোরা সবচেয়ে বড় লক্ষণ। এ সময়ে হরমোন পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ রেগে যাওয়া, হঠাৎ কান্না , এক্সাইটেড হওয়া আবার হঠাৎ আনন্দিত হওয়া সমস্যা গুলোও দেখা দেয়। এ সময়ের হরমোনের পরিবর্তন গর্ভবতী নারীর নিউরোট্রান্সমিটার এর মাত্রাকে প্রভাবিত করে। আর এগুলাও প্রেগনেন্সির লক্ষণ  গুলোর অন্তর্ভুক্ত। নারীরা চরম মাত্রায় অবসাদ, কষ্টে থাকা ছাড়াও আনন্দ ঘণ সময় ও কাটায়। 
  • ওভ্যুলেশন পক্রিয়ার পর গর্ভধারণ সম্পন্ন হলে স্বাভাবিক ভাবেই ঘনঘন প্রস্রাব হয়। আর তাই ঘনঘন প্রস্রাব তথা বারবার টয়লেটে যাওয়ার সমস্যাও গর্ভেধারণ লক্ষণ গুলার অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়াও এ সময়ে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দ্রুত হয়ে যায়, ফলে কিডনি ও অধিক পরিমাণে তরল নিঃসৃত করা আরম্ভ করে যা মূলত প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়।  আর প্রেগনেন্সির প্রথম দুই থেকে তিন সপ্তাহে ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ আসা খুব স্বাভাবিক। তাছাড়া প্রেগনেন্সির সময় যতই বাড়তে থাকে ততই ভ্রুণের বৃদ্ধির সাথসাথে জরায়ুর আকার ও বৃদ্ধি হতে থাকে। আর এ সমস্যা চরম ভাবে দেখা দেয় যখন ক্রমবৃদ্ধিমান গর্ভে অবস্থানরত শিশু মুত্রথলিতে চাপ দিতে থাকে। 
  • খাবার সমস্যা হলো গর্ভেধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এ সময়ে নারীদের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়, ফলে তারা নিজেদের প্রিয় জিনিস গুলাও অপছন্দ করতে শুরু করে দিতে পারে। আবার অপ্রিয় জিনিস ও পছন্দ করতে পারে। তখন তাদের অনেকে শাক সবজিসহ যাবতীয় সকল খাবার খাওয়া শুরু করে আবার অনেকে টোটালি খাবার খাওয়া বন্ধ করে খাবার সমস্যায় ভুগে। তারা কিছুই খেতে না পেরে ক্ষুদার যন্ত্রণায় থাকে আবার কোন কিছু খেলে বমি শুরু করে দিতে পারে। আবার অনেকে রাত অথবা দিন কোন কিছুরই ঠিক নাই হঠাৎ হঠাৎ অসময়ের খাবার খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। তাছাড়াও এমন ও কিছু নারী রয়েছে যাদের অদ্ভুত  সব জিনিস ভালো লেগে যায় সেসব অদ্ভুত জিনিসের মধ্যে ছাই( কয়লার ছাই) অথবা মাটি দিয়ে বানানো বিস্কিট পর্যন্ত চিবোয়। খাবারে অরুচি হওয়া ছাড়াও হজম সমস্যা দেখা দেয়। 

নোটঃ এমন ও কিছু গর্ভবতী নারী থাকে যাদের এত লক্ষণ এবং এত সমস্যা থাকেনা। এমন কি তারা বুঝতেই পারেনা তারা যে প্রেগন্যান্ট। তারা ৩মাস ৪ মাস অথবা ৫মাসের সময়ে বুঝতে পারে তারা প্রেগন্যান্ট অথবা এই গুরুত্বপূর্ণ সময় চলছে। অদ্ভুত হলেও এটা সত্য যে অনেক সময়ে এমন না জানার কারণে ভুলবশত মিসক্যারেজ ও হয়ে যায়। কারণ তখন তারা তাদের শরীর নিয়ে সচেতন থাকেনা।  

আরো জানুনঃ মিরপুর বেনারসি পল্লী বন্ধের দিন

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম ও সময়

প্রেগনেন্সি টেস্ট কখন করা যাবে বুঝতে পারছেননা? সহবাসের কমপক্ষে ২১ দিন পর টেস্ট করা যাবে। এর আগে টেস্ট করলে বিশেষ লাভ না ও হতে পারে। কেননা, গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভবতী নারীর প্রস্রাবে একধরণের হরমোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আর সেটা গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের একদম প্রথম দিকে কম থাকে। 

সেজন্য টেস্ট করতে হলে সহবাসের ২১ দিন পর করতে হবে। অনেকে লবণ দিয়ে টেস্ট করার কথা বলে থাকেন কিন্তু সেটা একদম ভুল একটা কথা। ওভাবে কোন টেস্ট সম্ভব নয়। লবণ এবং টুথপেস্ট হরমোনের উপস্থিতি নির্ধারণ করতে পারেনা। বরং যেকোন ওষুধের দোকান থেকে প্রেগনেন্সি  টেস্ট কিট কিনে পরীক্ষা করুন। এটা সহজ একটি পন্থা। কিভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে? তা নিম্নরূপ : 

  • সকালের প্রস্রাব  দ্বারা প্রেগনেন্সি পরীক্ষা : 

এই কিট দিয়ে পরীক্ষা শুধুমাত্র সকাল নয়,  দিনের যেকোন সময়েই এই পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু ভালো ফল পেতে হলে সকালের প্রস্রাব দ্বারা টেস্ট করতে হবে। কেননা সকালের প্রস্রাব সারারাত মুত্রথলিতে জমে ঘন থাকে। সেজন্য অন্য সময় টেস্ট করার চেয়ে সকালে করা বেশি ভালো। 

  • প্রেগনেন্সি টেস্টিং কিট দ্বারা পরীক্ষা করার উপায় : 

আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা টেস্ট করতে চাচ্ছেন? উপায় জানেননা? একটা কিটের প্যাকেট খুলে, কিটের যেখানে পস্রাব দিতে বলে সে স্থানে পস্রাব লাগানোর পর পাশেই পজিটিভ এবং নেগেটিভ মার্ক আসবে। তবে অবশ্যই সকালের পস্রাব হতে হবে। দিনের যেকোন সময়ের পস্রাব দিয়েও করা যায় কিন্তু পূর্ণ শিউর হতে চাইলে পূর্ণ সময়ে সকালের প্রস্রাব দিয়ে টেস্ট করতে হবে। 

কেন প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে পরীক্ষা করলে নেগেটিভ আসে? 

অনেক সময়ে দেখা যায় প্রেগন্যান্ট হওয়া সত্ত্বেও  প্রেগনেন্সি টেস্টিং কিট দিয়ে টেস্ট করার পর ও নেগেটিভ আসে। প্রেগনেন্সির একদম শুরুর দিকে টেস্ট করলে এরকম হয়। কেননা, ‘বেটা হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রোপিন’ নামক হরমোন তৈরি হয় গর্ভধারণের ৬ অথবা ৮-১০ দিনে। সুতরাং পরিপূর্ণ সময়ের আগে টেস্ট করলে নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যায় ভুগে এমন নারীরা প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক সময় বের করতে পারেনা। আর তাই তারা পরিপূর্ণ হরমোন জমা হওয়ার আগে টেস্ট করলে টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে। সুতরাং স্বামী-স্ত্রী মিলনের  কমপক্ষে ২১ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যাবে। পরিপূর্ণ এবং ঠিক সময়ে ২য়বারের মত প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পর নেগেটিভ আসলে সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ভালো কোন হসপিটালে যেতে হবে। সেখানে গাইনি ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করে শিউর হতে হবে। 

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও করণীয় এর উপসংহার

জীবন সুন্দর, জীবনের প্রতিটা ধাপে প্রয়োজনীয় সব কিছু পেলে। একজন নারীর জীবন সুন্দর নারীত্বের স্বাদ পেয়ে। আর গর্ভধারণের এই সময়টা সুন্দর করতে নারীর পাশে একজন সাহায্যকারী হিসেবে পুরুষের প্রয়োজন হয়। কেননা, যতই সুন্দর সময় হোক এ সময়ের পাগলামি, এ সময়ের যত কিছু অনাগত বাচ্চার বাবাই সহ্য করবে।  নারীটাকে সঙ্গ দিবে। তবে সে নারী হাসিখুশি থাকবে এবং অনাগত বাচ্চাও ভালো থাকবে। নারীত্বের স্বাদ পেতে যত কষ্ট সহ্য করে একজন নারী তা অনেকটা সহজ হয় অনাগত সন্তানের বাবার সাহচর্যে এবং সে কষ্ট হারিয়ে যায় বাচ্চার মুখ দেখার সাথে সাথে। 

আর এজন্য একজন নারীর এই মহামূল্যবান সময়ের জার্নিতে একজন অনাগত সন্তানের বাবা হিসেবে পূর্ণ সেবা এবং সঙ্গ দিয়ে অনাগত বাচ্চার মা-কে ভালো রাখতে চেষ্টা করুন নিজে ও ভালো থাকুন এবং একটা পরিবারকে ভালো রাখুন ও জীবন সুন্দর করুন। আশা করি আমাদের “গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম” সম্পর্কে লেখা আর্টিকেলটি থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আপনাদের যদি আরো “গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ” সম্পর্কে জানতে পারেন তা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু করবেন না।