You are currently viewing কোয়েল মল্লিকের জীবনী ও লাইফস্টাইল
কোয়েল মল্লিক

কোয়েল মল্লিকের জীবনী ও লাইফস্টাইল

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে যেকজন অভিনেত্রী সুনামের সাথে অভিনয় করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কোয়েল মল্লিক। কোয়েল মল্লিকের অভিনয় গুণ ও সুন্দর্যে মাতোয়ারা বাংলা ভাষাভাষি সিনেমা প্রেমিরা। তিনি তার অভিনয় গুণে মুগ্ধ করেছেন কলকাতা ছাড়িয়ে বাংলাদেশে। তার অসংখ ভক্ত রয়েছে সুদূর বাংলাদেশে। আজকে আমরা এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর জানা অজানা অনেক বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। তার জীবনের উত্থান, সফলতার গল্প ও ব্যক্তিগত বিষয়ে জানব।

এক এজরে কোয়েল মল্লিক
মূলনামঃ কোয়েল মল্লিকডাকনামঃ কোয়েল
জন্মঃ ২৮ এপ্রিল ১৯৮২জন্মস্থানঃ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
লিঙ্গঃ নারীভাষাঃ বাংলা, হিন্দী
ধর্মঃ সনাতনজাতীয়তাঃ ভারতীয়
পেশাঃ অভিনেত্রী, মডেলবৈবাহিক অবস্থাঃ বিবাহিত
বিয়েঃ ২০১৫স্বামীঃ নিসপাল সিং রানে
সন্তানঃ ১ ছেলেছেলের নামঃ কবীর
বাবাঃ রঞ্জিত মল্লিকমাতাঃ দীপা মল্লিক
শিক্ষগত যোগ্যতাঃ মনোবিজ্ঞানে বিএসসিউচ্চতাঃ ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি
চুলের কালারঃ কালচোখের কালারঃ বাদামী
শররীরের কালারঃ উজ্জ্বল ফর্শাব্রাঃ ৩৪
আকারঃ ৩৪-২৬-৩৬চলচ্চিত্রে অভিষেকঃ ২০০৩
প্রথম সিনেমাঃ নাটের গুরুওয়েবসাইটঃ https://koelmallick.in/

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক ২৮ এপ্রিল ১৯৮২ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বেড়ে ওঠা ও শৈশব-কৌশর কলকাতাতেই। তার বাবা ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক এবং মার নাম দীপা মল্লিক। কোয়েল তার বাবা মার খুবই আদরের সন্তান। কোয়েক একজন উচ্চশিক্ষিত অভিনেত্রী তিনি বি.এস.সি (অনার্স) করেন গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস কলেজ।

আরো জানুনঃ রচনা ব্যানার্জীর জীবনী

কোয়েল মল্লিকের ব্যক্তিগত জীবন

কোয়েল মল্লিক ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তিনি ভালবেসে বিয়ে করেন সুরিন্দার ফিল্মস-এর কর্ণধার নিসপাল সিং রানেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। তাদের দীর্ঘ পাচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল যেটি শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। তার স্বামী একজন পাঞ্জাবি তাই তাদের বিয়ে হিন্দু ও পাঞ্জাবী দুই নিয়মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল খুব জাকঝমকপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে। তাদের বিয়ের প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন অনেক নামিদামি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও অভিনেত্রী। ৫ দিনি ব্যাপি বিয়ের প্রোগ্রামে ছিল সংগীত, আর্শীবাদ, গায়ে হলুদ, বিয়ে, বৌভাত। কোয়েল ও নিসপাল দম্পতির একটি পুত্র সন্তান রয়েছে যার জন্ম হয় ২০২০ সালের ৫ ই মে।

আরো জানুনঃ মিমি চত্রবর্তীর জীবনী

কোয়েল মল্লিক এর ক্যারিয়ার

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় নাটের গুরু সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। তার সৌভাগ্য হয়েছিল প্রথম সিনেমায় বিখ্যাত অভিনেতা জিতের বিপরীতে অভিনয় করার। কোয়েল তার প্রথম সিনেমা দিয়েই তার অভিনয়ের সক্ষমতা জানান দেন। ২০০৩ সালে মুক্তিপাওয়া নাটের গুরু চলচ্চিত্রটি কলকাতায় ব্যাপক ব্যবসা করে। তারপর তিনি একে একে অনেক বিখ্যাত সিনেমা উপহার দিতে থাকেন দর্শকদের যেমনঃ ককপিট, বেশ করেছি প্রেম করেছি, হিরোগিরি, অরুন্ধতী, রংবাজ, পাগলু ২, জানেমন, ১০০% লাভ, পাগলু, দুই পৃথিবী, মন যে করে উড়ু উড়ু, বলো না তুমি আমার, সাত পাকে বাঁধা, প্রেমের কাহিনী, মিনিষ্টার ফাটাকেষ্ট, এম.এল.এ ফাটাকেষ্ট, হিরো, শুভদৃষ্টি, বন্ধন ইত্যাদি।

আরো জানুনঃ কৌশানী মুর্খাজীর জীবনী

কোয়েল মল্লিক তার ক্যারিয়ার কলকাতার সব জনপ্রিয় অভিনেতা সাথে কাজ করেছেন যেমনঃ জিৎ, যীশু সেনগুপ্ত, দেব, আবীর চট্টোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ইত্যাদি। তিনি তার অভিনয় গুণে সবার কাছে প্রিয় ছিলেন। কলকাতার সকল নামীদামী প্রযোজক তাকে নিয়ে সিমেমা করতে চায়। তিনি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের সকল বড় বড় প্রযোজক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছেন।

তাকে আজকের কোয়েল মল্লিক যারা বানিয়েছেন তার হল নির্মাতারা। তিনি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের সফল ও গুণী নির্মাতাদের সাথে কাজ করেছেন যেমনঃ অরিন্দম শীল, মৈনাক ভৌমিক, কমলেশ্বর মুখার্জী, কৌশিক গাঙ্গুলি, রাজা চন্দ, রবি কিনাগী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রাজিব বিশ্বাস, রাজ চক্রবর্তী, স্বপন সাহা, হরনাথ চক্রবর্তী ইত্যাদি। কোয়েল মল্লিক চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টেলিভিশনে ও সফল ভাবে কাজ করেছেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হিসেবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কাজ করে নিজের জাত চিনিয়েছেন।

আরো জানুনঃ শ্রাবন্তী ব্যানার্জীর জীবনী

কোয়েল মল্লিক এর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ

১। নাটের গুরু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন হরনাথ চক্রবর্তী ২০০৩ সালে
২। বাদশাহ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সৌরভ চক্রবর্তী ২০০৪ সালে
৩। বন্ধন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রবি কিনাগী ২০০৪ সালে
৪। শুধু তুমি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন অভিজিত গুহ ও সুদেষ্ণা রায় ২০০৪ সালে
৫। দেবীপক্ষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রাজা সেন ২০০৪ সালে
৬। মানিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন প্রভাত রায় ২০০৫ সালে
৭। যুদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রবি কিনাগী ২০০৫ সালে
৮। শুভদৃষ্টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন প্রভাত রায় ২০০৫ সালে
৯। প্রেমি নং ১ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন দেবু পাটনায়েক ২০০৫ সালে
১০। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন অনুপ সেনগুপ্ত ২০০৫ সালে

১১। হিরো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন স্বপন সাহা ২০০৬ সালে
১২। এরই নাম প্রেম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত গুহ ২০০৬ সালে
১৩। ঘটক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন স্বপন সাহা ২০০৬ সালে
১৪। শিকড় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সারান দত্ত ২০০৬ সালে
১৫। এম.এল.এ ফাটাকেষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন স্বপন সাহা ২০০৬ সালে
১৬। নবাব নন্দিনী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন হরনাথ চক্রবর্তী ২০০৭ সালে
১৭। মিনিষ্টার ফাটাকেষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন স্বপন সাহা ২০০৭ সালে
১৮। মহানায়ক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন দেবু পাটনায়েক ২০০৭ সালে
১৯। চাঁদের বাড়ি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তরুন চক্রবর্তী ২০০৭ সালে
২০। প্রেমের কাহিনী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রবি কিনাগী ২০০৮ সালে

২১। মন মানে না চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত গুহ ২০০৮ সালে
২২। চিরসাথী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন হরনাথ চক্রবর্তী ২০০৮ সালে
২৩। লাভ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৮ সালে
২৪। সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত মন্ডল ২০০৯ সালে
২৫। জ্যাকপট চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন কৌশিক গাঙ্গুলি ২০০৯ সালে
২৬। নীল আকাশের চাঁদনী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত গুহ ২০০৯ সালে
২৭। বর আসবে এখুনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রঞ্জন চক্রবর্তী ২০০৯ সালে
২৮। হিটলিস্ট চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সন্দীপ রায় ২০০৯ সালে
২৯। বলো না তুমি আমার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত মন্ডল ২০০৯ সালে
৩০। তু থা মন জাসি রাসি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন শ্রীতম দাস ২০১০ সালে

৩১। মন যে করে উড়ু উড়ু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত গুহ ২০১০ সালে
৩২। প্রেম বাই চান্স চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুদেষ্ণা রায় ২০১০ সালে
৩৩। হ্যাংওভার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন প্রভাত রায় ২০১০ সালে
৩৪। দুই পৃথিবী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রাজ চক্রবর্তী ২০১০ সালে
৩৫। পাগলু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রাজিব বিশ্বাস ২০১১ সালে
৩৬। ১০০% লাভ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রবি কিনাগী ২০১২ সালে
৩৭। জানেমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রাজা চন্দ ২০১২ সালে
৩৮। হেমলক সোসাইটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ২০১২ সালে
৩৯। পাগলু ২ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত মন্ডল ২০১২ সালে
৪০। দশমী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুমন মৈত্র ২০১২ সালে

৪১। রংবাজ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রাজা চন্দ ২০১৩ সালে
৪২। হাইওয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুদিপ্ত চট্টোপাধ্যায় ২০১৪ সালে
৪৩। অরুন্ধতী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সুজিত মন্ডল ২০১৪ সালে
৪৪। চার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সন্দীপ রায় ২০১৪ সালে
৪৫। হিরোগিরি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রবি কিনাগী ২০১৫ সালে
৪৬। বেশ করেছি প্রেম করেছি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রাজা চন্দ ২০১৫ সালে
৪৭। ছায়া ও ছবি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন কৌশিক গাঙ্গুলি ২০১৭ সালে
৪৮। ককপিট ও ছবি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন কমলেশ্বর মুখার্জী ২০১৭ সালে
৪৯। ঘরে ও বাইরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন মৈনাক ভৌমিক ২০১৮ সালে
৫০। অরিন্দম শীল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন মিতিনমাসি ২০১৯ সালে

অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক এর পুরস্কার ও সম্মাননা

কোয়েল মল্লিক ২০০৪ সালে চতুর্থ টেলি সিনে পুরস্কার লাভ করেন। বলো না তুমি আমার সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জী-বাংলা গৌরভ সম্মান পুরস্কার লাভ করেন। নায়িকা কোয়েল দুই পৃথিবী সিনেমায় দারুণ অভিনয় করার জন্য স্টার জলসা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি হেমলক সোসাইটি সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে বিএফজেএ (২০১৩) ও জী-বাংলা গৌরভ সম্মান পুরস্কার লাভ করেন। তার সবচেয়ে বড় পুরস্কার বা সম্মাননা হল কোটি দর্শকদের ভালবাসা।

আরো জানুনঃ শুভশ্রী গাঙ্গুলীর জীবনী

নায়িকা কোয়েল মল্লিকের সোসালমিডিয়া প্রোফাইলঃ