নুসরাত জাহান হলেন একজনা আলোচিত সমালোচিত ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ও সংসদ। তার ক্যারিয়ারের নানা বিতর্ক রয়েছ। গুণী এই অভিনেত্রী সৌন্দর্য্য ও অভিনয় দক্ষতা এখনও এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। অভিনয় জীবনে তিনি খুবই সফল ও প্রথমসারির অভিনেত্রী। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তাছাড়া তিনি রাজনীতিকভাবে একজন সফল রাজনীতিবিদ। আজকে আমরা অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহানের ক্যারিয়ারের সকল ভাল ও বিতর্কীত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। নুসরাত সম্পর্কে খুটিনাটি জানতে সম্পর্ণ লেখাটি পড়ুন।
এক নজরে নুসরাত জাহান | |
মূলনামঃ নুসরাত জাহান | ডাকনামঃ নুসরাত |
অন্যান্য নামঃ নায়না, রুহি | জন্মঃ ৮ জানুয়ারি ১৯৯০ |
জন্মস্থানঃ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | বর্তমান বসবাসঃ কলকাতা |
লিঙ্গঃ নারী | ভাষাঃ বাংলা |
ধর্মঃ ইসলাম | জাতিয়তাঃ বাংলাদেশী |
পেশাঃ মডেল, অভিনেত্রী রাজনীতিবিদ | রাজনৈতিক দলঃ তৃণমূল কংগ্রেস |
বৈবাহিক অবস্থাঃ বিবাহিত | সন্তানঃ ১ ছেলে |
ছেলের নামঃ ঈশান | স্বামীঃ কাদের খান |
বয়ফ্রেন্ডঃ যশদাশ গুপ্ত | বাবাঃ জানা নেই |
মাঃ জানা নেই | বোনঃ পূজা প্রসাদ |
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্নাতক | চলচ্চিত্রে অভিষেকঃ ২০১১ |
প্রথম চলচ্চিত্রঃ শত্রু | রাশিঃ মকর |
উচ্চতাঃ ৫ ফুট ৭ উঞ্চি | আকারঃ ৩২-২৪-৩৪ |
শরীরের কালারঃ উজ্জ্বল ফর্শা | চুলের কালারঃ ডার্ক ব্রাউন |
চোখের কালারঃ ডার্ক ব্রাউন | প্রিয় বন্ধুঃ মিমি চক্রবর্তী |
প্রিয় খাবারঃ মাটন, মিষ্টি দই, পাস্তা | প্রিয় খেলাঃ ফুটবল, ক্রিকেট |
প্রিয় খেলোয়াড়ঃ সৌরভ গাঙ্গুলি | প্রিয় অভিনেতাঃ শাহরুখ খান |
প্রিয় অভিনেত্রীঃ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া | প্রিয় কালারঃ রেড, পিঙ্ক |
প্রিয় ফিল্ম ডিরেক্টারঃ ইয়াস চোপড়া | প্রিয় সিনেমাঃ দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জাহিগে |
প্রিয় গায়কঃ অরিজিত সিং | প্রিয় গায়িকাঃ শ্রেয়া ঘোষাল |
প্রিয় ঘোরার জায়গাঃ ফ্রান্স | প্রিয় ড্রেসঃ শাড়ী |
নুসরাত জাহান এর প্রাথমিক জীবন
ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত জাহান ৮ই জানুয়ারি, ১৯৯০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে। নুসরাতের মা কলকাতার একজন গুণী অভিনেত্রী। তিনি তার মার হাত ধরেই অভিনয়ে যাত্রা করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিবাহিত তার স্বামীর নাম নিখিল জৈন। রিউমার আছে তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা যশদাশ গুপ্তের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ১ সন্তানের মা। তার ছেলের নাম ঈশান। তিন এখন তার পরিবারের সাথে কলকাতায় বসবাস করছেন। কুইন অব দ্য মিশন স্কুল থেকে নুসরার তার স্কুল জীবন শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি বি কম ডিগ্রি লাভ করেন কলকাতার ভবানীপুর কলেজ থেকে। তিনি পড়াশোনাতেও দারুণ মেধাবী ও সফল ছিলেন।
নুসরাত জাহানের রাজনৈতিক জীবন
ভারতের বিখ্যাত অঙ্গরাজ্য কলকাতার জনপ্রিয় রাজনীতক দল তূর্ণমূল কংগ্রেস এর একজন সংসদ হলেন নুসরাত জাহান। মমতা ব্যার্নাজীর হাত ধরে নুসরাত রাজনীতিতে আসেন। নুসতার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বসিরহাট কেন্দ্র থেকে নির্বাচন করেন। এই কেন্দ্র থেকে তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। সন্তান জন্ম দেয়ার পর থেকে নুসরাতকে আর আগের মত নির্বাচনের মাঠে দেখা যায় নি।
নুসরাত জাহানের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার
নুসরাত জাহানের মিডিয়া ক্যারিয়ার শুরু হয় মডেলিং এর মাধ্যমে ২০১০ সালে। তিনি তার ক্যারিয়ারের শুরুতে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হন যেটির নাম ছিল ফেয়ার ওয়ান মিস কলকাতা। সৌন্দর্যের কারণে তিনি মডেলিং এও সবার থেকে এগিয়ে ছিলেন সেই সময়। তাই পরিচালক ও প্রযোজকদের তার তার দিকে নজর ছিল। নুসরাত তার ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাতেই অভিনয় করার সুযোগ পান কলকাতা ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির সুপারস্টার জিৎ এর বিপরীতে।
শ্ত্রু নামক সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র অভিষেক হয় যেটি নির্মাণ করেন বিখ্যাত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। শত্রু সিনেমাটি প্রযোজনা করেন সনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ। তিনি তার প্রথম সিনেমাতেই তার অভিনয়ের দক্ষতার প্রমাণ দেন যার ফলে সিনেমাটি সুপারহিট হয়। তিনি তার দ্বীতিয় সিনেমাতেই অভিনয় করার সুযোগ পান কলকাতার আরেক সুপারস্টার অভিনেতা দেবের সাথে। দেবের সাথে তার দ্বিতীয় সিনেমাটি ছিল খোকা ৪২০ যেটি নির্মাণ করেন রাজিব বিশ্বাস।
এই সিনেমার মাধ্যমে নুসরাত সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তারপর তিনি একে একে অনেক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিতে থাকেন দর্শকদের। তিনি তার ক্যারিয়ারে কলকাতার প্রথম সারির সকল অভিনেতাদের সাথে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন খুব অল্প সময়ে। তিনি শুধু প্রথম সারির অভিনেতাদের সাথেই অভিনয় করেন নি তিনি কলকাতার প্রথম সারির সকল প্রযোজনা ও পরিচালকদের সাথেও কাছ করেছেন দাপটের সাথে।
নুসরাত জাহান এর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
১। শ্ত্রু সিনেমা ২০১১ সালে নির্মাণ করেন রাজ চক্রবর্তী যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল জৎ
২। খোকা ৪২০ সিনেমা ২০১৩ সালে নির্মাণ করেন রাজীব বিশ্বাস যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল দেব
৩। খিলাড়ী সিনেমা ২০১৩ সালে নির্মাণ করেন অশোক পতি যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল অঙ্কুশ হাজরা
৪। কর্ম সিনেমা ২০১৪ সালে নির্মাণ করেন সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল ওম
৫। যোদ্ধা সিনেমা ২০১৪ সালে নির্মাণ করেন রাজ চক্রবর্তী যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল দেব
৬। সন্ধে নামার বয়স সিনেমা ২০১৪ সালে নির্মাণ করেন তব্রত ভট্টাচার্য যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল না
৭। জামাই 420 সিনেমা ২০১৫ সালে নির্মাণ করেন রবি কিনাগী যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল অঙ্কুশ হাজরা , হিরণ চ্যাটার্জী , সোহম চক্রবর্তী
৮। হার হার ব্যোমকেশ সিনেমা ২০১৫ সালে নির্মাণ করেন অরিন্দম সিল যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল আবির চ্যাটার্জী
৯। শক্তি ব্যোমকেশ সিনেমা ২০১৬ সালে নির্মাণ করেন রাজীব কুমার বিশ্বাস যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল জিত
১০। কেলোর কির্তি সিনেমা ২০১৬ সালে নির্মাণ করেন রাজা চন্দ যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল দেব , জিশু সেনগুপ্ত , অঙ্কুশ হাজরা
১১। লাভ এক্সপ্রেস সিনেমা ২০১৬ সালে নির্মাণ করেন রাজীব কুমার বিশ্বাস যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল দেব
১২। জুলফিকার সিনেমা ২০১৬ সালে নির্মাণ করেন শ্রীজিৎ মুখার্জি যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল দেব , প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী , জিশু সেনগুপ্ত , অঙ্কুশ হাজরা , পরমব্রত চ্যাটার্জী
১৩। হরিপদ বান্ডওয়ালা সিনেমা ২০১৬ সালে নির্মাণ করেন পথিকৃত বসু যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল অঙ্কুশ হাজরা
১৪। এক সিনেমা ২০১৭ সালে নির্মাণ করেন বিরসা দাশগুপ্ত যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল যশ দাশগুপ্ত , প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী
১৫। আমি কে জে তোমার সিনেমা ২০১৭ সালে নির্মাণ করেন রবি কিনাগি যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল অঙ্কুশ হাজরা
১৬। বলো দুগ্গা মাইকি সিনেমা ২০১৭ সালে নির্মাণ করেন রাজ চক্রবর্তী যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল অঙ্কুশ হাজরা
১৭। উমা সিনেমা ২০১৮ সালে নির্মাণ করেন শ্রীজিৎ মুখার্জি যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল জিশু সেনগুপ্ত
১৮। ক্রিসক্রস সিনেমা ২০১৮ সালে নির্মাণ করেন বিরসা দাশগুপ্ত যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল না
১৯। নাকাব সিনেমা ২০১৮ সালে নির্মাণ করেন রাজীব কুমার বিশ্বাস যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল শাকিব খান
২০। আসুর সিনেমা ২০২০ সালে নির্মাণ করেন পাভেল যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল জিত
২১। এসওএস কলকাতা সিনেমা ২০২০ সালে নির্মাণ করেন অঙ্কুশান প্রত্যুষ যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল যশ দাশগুপ্ত
২২। অভিধান সিনেমা ২০২১ সালে নির্মাণ করেন ব্রাত্য বসু যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল আবির চ্যাটার্জী , মোশাররফ করিম
২৩। স্বস্তিক সংকেত সিনেমা ২০২১ সালে নির্মাণ করেন সায়ন্তন ঘোষাল যেটিতে তার সহশিল্পী ছিল গৌরব চক্রবর্তী