বাংলার গর্বিত আরেক না হলো সজীব ওয়াজেদ জয়। কে না চিনে তাকে, তিনি যে বাংলার উজ্জ্বল আলো যেমন সূর্য না উঠলে দিন হয়না তেমনি তিনি না হলে অনেক কিছুই সম্ভব হয়ে উঠতে পারতোনা। আজ সেই উজ্জ্বল আলো অর্থাৎ সজীব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে আলোচনা করবো। বাংলাদেশী আইসিটি পরামর্শক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেন সজীব ওয়াজেদ এবং তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে।
এবং জনগণের ভালোবাসার আরেক নাম সজীব ওয়াজেদ জয়। সারাবিশ্ব তাকে চিনে এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাস ও ভালোবাসে। এবং সজীব ওয়াজেদ জয় এই বাংলার ও বাংলার মানুষের জন্য কি না করেছেন। যদি তাকে নিয়ে লিখা হয় তাহলে শেষ হবেনা। শুধু তাই নয় এর পিছনে তার পরিবারেরও হাত রয়েছেন। না জানা না বলা অনেক তথ্যই রয়েছেন। এবং আমরা এই আর্টিকেলর মাধ্যমে অনেক কিছুই জেনে নিবো।
Table of Contents
সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম ও জন্মস্থান?
জন্মঃ ২৭ জুলাই ১৯৭১ (বয়স ৫০) ঢাকা
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী
অন্যান্য নামঃ জয়
পিতা-মাতাঃ এম এ ওয়াজেদ মিয়া, শেখ হাসিনা
আদি নিবাসঃ রংপুর
দাম্পত্য সঙ্গীঃ ক্রিস্টিন ওয়াজেদ
সন্তানঃ সোফিয়া রেহানা ওয়াজেদ
মাতৃশিক্ষায়তনঃ ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
নাগরিকত্বঃ বাংলাদেশী
শিক্ষাঃ বিএসসি (কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং) এমএ (পাবলিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন)
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাক্তিগত জীবন
মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন ওয়াজেদকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০২ সালের ২৬শে অক্টোবর এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে নাম সোফিয়া ওয়াজেদ।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রাথমিক জীবন
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই সজীব ওয়াজেদ জয় , বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেয়। সজীব ওয়াজেদ জয় এর বাবা একজন খ্যাতনামা পরমাণুবিজ্ঞানী (এম এ ওয়াজেদ মিয়া) এবং মা বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা)। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয়ের নানা। ১৯৭৫ সালে জয়ের নানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা হওয়ার পরে, সজীব ওয়াজেদ জয় মায়ের সাথে জার্মানি এবং লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
এবং জয়ের শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন তার আগে সজীব ওয়াজেদ জয় নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করেছিলেন। এবং এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সজীব ওয়াজেদ জয় এছাড়াও স্হায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বাস করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সোসাল মিডিয়াঃ
সজীব ওয়াজেদ জয়ের কর্মজীবন
পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অবৈতনিক একাদশ জাতীয় সংসদ ২০১৯ থেকে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। এর আগে আওয়ামীলীগের বিগত মেয়াদের সরকারে ২০১৪ সালেও প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান
সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবার
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী একটি বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবার হচ্ছে শেখ-ওয়াজেদ পরিবার, প্রাথমিকভাবে যেটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা এবং তার বংশধরদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। তাদের সম্পৃক্ততা ঐতিহ্যগতভাবে ঘূর্ণয়মান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে।
শেখ-ওয়াজেদ পরিবার
সদস্যঃ শেখ মুজিবুর রহমান
বেগম ফজিলাতুন্নেসা
শেখ হাসিনা
সজীব ওয়াজেদ
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
শেখ কামাল
শেখ জামাল
শেখ রেহানা
টিউলিপ সিদ্দিকী
বর্তমান অঞ্চলঃ ঢাকা, বাংলাদেশ
উৎপত্তির স্থানঃ গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ
ঐতিহ্যঃ ইসলাম
বৈশিষ্ট্যঃ রাজনৈতিক প্রাধান্য
১৯৬৮ সালে এম.এ ওয়াজেদ আলীকে শেখ হাসিনা (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা) বিয়ে করেন এবং তার কুলনামটি অবলম্বন করেন এবং ওয়াজেদ কুলনামটি এসেছে এম এ ওয়াজেদ মিয়া থেকে।
তারুণ্যের সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদকে আমরা মূলত চিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কারণেই। সজীব ওয়াজেদ জয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জোষ্ঠ সন্তান ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বাংলাদেশকে একটি প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে অনেকটা নীরবেই কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও অনেকই হয়তো জানেন না জয় এর কিন্তু আলাদা একটি পরিচয় আছে। সজীব ওয়াজেদ জয় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন হাতে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। এছাড়াও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের প্রতিভা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
২০০৪ সালে সজীব ওয়াজেদ গড়ে তুলেন সুচিন্তা বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন রাজনীতিবিমুখ তরুণদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন করতে। সুচিন্তা প্রায় দেড় দশক ধরে ইতিহাস, রাজনীতি, অসাম্প্রদায়িকতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তরুণদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০১৩ সালে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রতিষ্ঠা করেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (CRI) নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি যা রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তরুণদের মতামত পৌঁছে দিতে। সজীব ওয়াজেদ জয় (CRI) গঠনের জন্য উন্নত বিশ্বের ‘পলিটিক্যাল ফাউন্ডেশন’ মডেলটি বেছে নেন।
ইতিহাস, রাজনীতি ও জাতীয় উন্নয়ন নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এই সংগঠন থেকে নিয়মিত ❝লেটস টক❞ নামক একটি উন্মুক্ত আলোচনার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় যেখানে মন্ত্রী এছাড়াও সাংসদ-সহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের মানুষদের সঙ্গে তরুণদের খোলামেলা কথাবার্তা হয় বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন শ্রেণীর সমাজের লোকজন-এর সাথে! রাজনৈতিক জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত করা হয় প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে।
এর বিপরীতে ❝পলিসি ক্যাফে❞ এই নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন কোশল, আইন, নীতি ইত্যাদি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের কাছে তরুণদের সুচিন্তিত মতামত সরাসরি পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ❝উন্নয়নের রাজনীতি❞ তরুণদের কাছে পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে সহজ ভাষায় এবং ইনফোগ্রাফিক্স-সম্পন্ন প্রকাশনাও নিয়মিত তৈরি করে যাচ্ছেন (CRI)। সংগঠনটির ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি প্রকাশনাই।
❝CRI❞ এর ❝মুজিব❞ গ্রাফিক নভেলটিও ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নতুন আঙ্গিকে শিশু, কিশোর ও তরুণদের কাছে পৌঁছে দিতে! সজীব ওয়াজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়মিতভাবে জনমত জরিপ করা হয় রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের মতামত তুলে ধরতে। রাজনীতিকে অধিকতর স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামলূক করছে এবং এই উদ্যোগগুলো যে বাংলাদেশের অবশ্য এই কথাটি বললে তা নিশ্চয়ই বাড়িয়ে বলা হবে না। বাংলাদেশের জনসংখ্যা অধিকাংশ তরুণ। অনেকেই আছেন এই তরুণদের মধ্যে যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ উদ্যোগে কোনো ধরণের সহায়তা ছাড়াই সমাজ পরিবর্তনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
২০১৪ সালে সজীব ওয়াজেদ জয় ❝ইয়াং বাংলা❞ নামক তরুণদের প্লাটফর্মটি শুরু করেন এবং এই প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের মূল্যায়ন করতে এবং উৎসাহ দিতে। ❝ইয়াং বাংলা❞ প্লাটফর্মটি ২০১৪ সাল থেকেই নিয়মিতভাবে আয়োজন করে যাচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। নারীর ক্ষমতায়ন, উদীয়মান তরুণকে স্বেচ্ছাসেবী, সমাজ কল্যাণ উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কৃত করা হয় জয় বাংলা অ্যাওয়ার্ডের প্রতিটি আসরেই ৩০ জন। দায়িত্ব শেষ শুধু পুরস্কার দিয়েই হয় না; তখন সকল পুরস্কারপ্রাপ্ত তরুণদের ‘ইয়াং বাংলা’ নেটওয়ার্কের অংশও করে নেওয়া হয় এই কথাটি মাথায় রেখেই। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন এবং সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে তরুণদের সেতুবন্ধন তৈরি করার মাধ্যমে তাদের ভালো কাজগুলোকে আরও প্রসারিত করার সুযোগও করে দেয় ❝ইয়াং বাংলা❞
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক প্রতি বছর তরুণদের মাঝে ভাষণের স্পৃহা জাগিয়ে তুলতে আয়োজন করে “জয় বাংলা” কনসার্ট” ❝ইয়াং বাংলা❞। জনগণের সঙ্গে, বিশেষ করে তরুণদের সঙ্গে, যোগাযোগ স্থাপনের সবচেয়ে সহজ ও সুলভ মাধ্যম হচ্ছে ফেইসবুকের মতোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। সজীব ওয়াজেদ জয়ই শুরু করেন বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতিবিদদের মধ্যে ২০১৩ সালে নিজের ফেইসবুক পাতা খুলে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের রীতি।
তখন সজীব ওয়াজেদ এর এই দেখাদেখি করে পরবর্তী অনেক রাজনীতিবিদই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটিভ হতে শুরু করেন। এরপর সংসদ ও রাজনীতিবিদদের একাধিক প্রশিক্ষণ কর্মশালারও ব্যবস্থা করেন যাতে তারা এই তাৎক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর সুবাদে জনগণের একদম কাছে পৌঁছে যেতে পারেন এই সিআরআইকে কাজে লাগিয়ে । ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের একজন অনলাইন ব্লগার হয়তো এটা অনেকেই জানেন না। সজীব ওয়াজেদ নিয়মিত লেখালেখি করতেন ২০০৫ সালে নিজের নামে ব্লগসাইট খুলে।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতেন পাঠকদের। সকল ভোটারদের জন্য একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার বা ডাটাবেজ তৈরি করার কথা সজীব ওয়াজেদ জয় তার একটি লেখাতেই প্রথম উঠে আসে। সজীব ওয়াজেদ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বিশেষ করে তরুণ-বান্ধব করে তুলতে, আধুনিক করতে বাংলাদেশের রাজনীতিকে। জয় কাজের মাধ্যমেই সফল হবেন তরুণদের সকল প্রত্যাশা পূরণে এটা আমার বিশ্বাস।
শেষকথাঃ
সজীব ওয়াজেদ জয় আমার চোখে দেখে এবং আমার পছন্দের মানুষ একজন তিনি। এবং সজীব ওয়াজেদ জয় এই দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই সম্ভব করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। এই দেশের জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান বলে শেষ করা অসম্ভব বলে মনে হয় আমার। তিনি আড়ালে থেকেও এই দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য অনেক কাজই করে যাচ্ছেন বাংলাদেকে একটা উচ্চপর্যায়ে নেওয়ার জন্য। এবং তিনি এই দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন শুধু তাই নয় তিনি এই বাংলার মানুষকে খুব ভালোবাসেন এবং বেসে যাবেন।