সালমান শাহর জীবনী ও মৃত্যুর রহস্য

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন যার সাথে এই কথাটি মিলে যায় তিনি হলেন কোটি তরুণ তরুণীর হৃদয় জয় করা স্টাইলিশ আইকন নায়ক সালমান শাহ্‌। সালমান শাহ্‌র মত এত অল্প সময়ে এত বেশি জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের ফিন্ম ইতিহাসের কোন সেলিব্রেটি পাই নি। তার এক একটি সিনেমা মুক্তি ছিল এক একটি উৎসব এর মত। খুব অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি ভক্তদের কাদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তার জনপ্রিয়তা একমাত্র নব্বশ দশকের ছেলে মেয়েদেরই দেখার সুভাগ্য হয়েছিল। আজকে তার পাগল ভক্তদের জন্য গুনী শিল্পী সস্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।

সালমান শাহের সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

মূল নাম: শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন

চলচ্চিত্রে নামঃ সালমান শাহ্‌

ডাকনামঃ ইমন

জন্ম তারিখ: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

বয়সঃ ২৪ বছর

পেশা: অভিনেতা, মডেল

জন্মস্থান: দাড়িয়া পাড়া, সিলেট, বাংলাদেশ

প্রথম সিনেমাঃ কেয়ামত থেকে কেয়ামত

প্রথম সিনেমা মুক্তিপায়ঃ ১৯৯৩ সালে

শেষ সিনেমাঃ বুকের ভেতর আগুন

মোট চলচ্চিত্রঃ ২৭ টি

প্রথম নাটকঃ আকাশ ছোয়া

প্রথম নাটক মুক্তি পায়ঃ ১৯৮৫ সালে

শেষ নাটকঃ স্বপ্নের পৃথিবী

উচ্চতা: ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি

চুলের রং: কালো

চোখের রং: ডার্ক ব্রাউন

বৈবাহিক অবস্থাঃ বিবাহিত

বিবাহঃ ১২ আগস্ট, ১৯৯২

জীবনসঙ্গী: সামিরা হক

পিতাঃ কমর উদ্দিন চৌধুরী

মাতাঃ নীলা চৌধুরী

স্বশুরঃ শফিকুল হক হিরা

ভাইঃ চৌধুরি মোহাম্মদ শাহ্‌রান

ধর্মঃ ইসলাম

মৃতুঃ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী

 

সালমান শাহের জন্ম ও বেড়ে ওঠা

যাকে কোটি মানুষ নায়ক সালমান শাহ হিসেবে চিনে তার আসল নাম কিন্তু সালমান শাহ নয়। জন্ম সূত্রে সালমানের নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তিনি চলচ্চিত্রে আসার পর তার নাম পরিবর্তন করে রাখান সালমান শাহ । কোটি ছেলে মেয়েদের স্বপ্নের পুরুষ সালমান শাহ এর জন্ম তার নান বাড়ি দাড়িয়া পাড়া গ্রাম সিলেটে ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে। সালমান শাহ যে বাড়িটিতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেই বাড়িটিকে সালমানের নামঅনুসারে সামান ভবন রাখা হয়েছে। সালমান ভবনে এখন সালমান শাহ এর অনেক ব্যবহিত জিনিস প্ত্র রাখা আছে। সালমানের ছেলে বেলা কেটেছে প্রিয় শহর সিলেটে। তিনি সুযোগ পেলেই ছুটে যেতেন প্রিয় শহরে। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর সবচেয়ে বড় ছেলে ছিলেন নায়ক সালমান শাহ।

সালমান শাহ এর শিক্ষাজীবন

সালমান একজন উচ্চ শিক্ষিত ফিল্মের নায়ক ছিলেন। সালমান শাহর শিক্ষাজীবনের শুরুটা হয় খুলনাতে। তার পরিবার খুলনাতে থাকার কারণে তার পড়াশোনার শুরুটাও হয় সেখানের একটি স্থানীয় স্কুলে। বয়রা মডেল হাইস্কুল নামক খুলনার একটি স্কুলে তার পড়াশোনার হাতেখড়ি হয়। বয়রা মডেল হাইস্কুলে সেই সময় পড়াশোনা করতেন বর্তমান বাংলা চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শীনি খ্যাত চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সালমান ও মৌসুমী একই প্রতিষ্ঠানের পড়ার কারণে তার খুব ভাল বন্ধু ছিল। ভাগ্যক্রমে তারা দুজনের চলচ্চিত্রে একই সাথে অভিষেক হয়।

সালমান ম্যাট্রিক বর্তমান এস এস সি পাশ করেন ধানমন্ডির আরব মিশন স্কুল থেকে ১৯৮৭ সালে। তিনি ইন্টারমিডিয়েট বর্তমান এইচ এস সি পাশ করেন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর তিনি থেমে থাকেন নি। তার ও তার পরিবারের ইচ্ছা ছিল সালমান উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন। পরবর্তিতে সালমান উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন মালেকা সায়েন্স কলেজ যেটি বর্তমানে ডক্টর মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। সেখান থেকে তিনি ই বি. কম. পাস করেন। তারপর তিনি অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন।

নাটকে সালমান শাহ

সালমান শাহ অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল নাটকের মাধ্যমে ১৯৮৫ সালে । তিনি সেই সময় আকাশ ছোয়া নাটক বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বিটিভির জন্য করেন। প্রথম নাটকেই তিনি অসাধারণ অভিনয় করেন। তার অভিনয়ের পারদর্শীতে দেখে পরিচালকরা আরো কিছু নাটকে তাকে দিয়ে অভিনয় করান। তিনি শুধু একক নাটকেই অভিনয় করেন নি ধারাবাহিক নাটকে ও অভিনয় করেছেন।

সালমান শাহর নাটক সমূহ্যঃ

১। নাটক আকাশ ছোয়া মুক্তি পায় ১৯৮৫ সালে
২। নাটক সৈকত সারস মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে
৩। নাটক পাথর সময় মুক্তি পায় ১৯৯০ সালে
৪। নাটক ইতিকথা মুকি পায় ১৯৯৪ সালে
৫। নাটক দোয়েল মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে
৬। নাটক সব পাখি ঘরে ফেরে মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে
৭। নাটক নয়ন মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে
৮। নাটক স্বপ্নের পৃথিবী মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে

সালমান শাহর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার

শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন বা সালমান শাহর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ভারতের বিখ্যাত কেয়ামত সে কেয়ামত সিনেমার রিমেক কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেয়ার মাধ্যমে। কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার জন্য সালমান শাহ কে বাচাই করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান সিনেমাটি পরিচালনা ও করেন। সেই ছবির মাধ্যমেই শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সালমান শাহ। কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার জন্য নায়িকা হিসেবে বাচাই করা হয় নায়িকা মৌসুমীকে

সালমান ও মৌসুমী দুজনেরই অভিষেক সিনেমা ছিল কেয়ামত থেকে কেয়ামত। পরিচালক সোহানের হত ধরে সালমান প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করে ফেলেন। তার প্রথম ছবিটি সুপার ডুপার হিট হয় বক্স অফিসে। সেই সিনেমার গান গুলো সবার মুখে মুখে শুনা যেত। পরে সালমান নায়িকা মৌসুমীর সাথে জুটি বেধে পর পর কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেন। তারা পর পর তিনটি ব্যবসাসফল সিনেমা স্নেহ, দেনমোহর ও অন্তরে অন্তরে উপহার দেয় দর্শকদের। কিন্তু তাদের জুটির মধ্যে চির ধরে যখন সালমান নায়িকা শাবনূর এর সাথে জুটি বেধে কাজ শুরু করেন। সালমান ও শাবনূর জুটি হিসেবে প্রথম কাজ করেন তুমি আমার সিনেমার মাধ্যমে।

এই জুটি একে একে উপহার দিতে থেকে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা। স্বপ্নের নায়ক, সুজন সখি, আনন্দ অশ্রু, স্বপ্নের পৃথিবী, চাওয়া থেকে পাওয়া মত অসংখ সুপার ডুপার হিট সিনেমা উপহার দিতে থাকে সালমান সাবনূর জুটি। সালমান অভিনীত ২৭ টি সিনেমার মধ্যে নায়িকা শাবনূরের সাথে কাজ করেছেন ১৪ টি সিনেমাতে। তাছাড়া তিনি আরো অভিনয় করেছেন নায়িকা শাবনাজ, নায়িকা, সোনিয়া, নায়িকা কাঞ্চি, নায়িকা শাহনাজ, নায়িকা শিল্পী, নায়িকা লিমাসহ আরও অনেক নায়িকার সাথে।

সালমান শাহের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাঃ

১। কেয়ামত থেকে কেয়ামত -মার্চ ২৫, ১৯৯৩ । পরিচালক হোসানুর রহমান সোহান
২। অন্তরে অন্তরে – জুন ১০, ১৯৯৪ । পরিচালক শিবলী সাদিক
৩। সুজন সখী – আগস্ট ১২, ১৯৯৪ সালে । পরিচালক শাহ্‌ আলম কিরণ
৪। বিক্ষুভ – সেপ্টেম্বর ৯, ১৯৯৪ । পরিচালক মহম্মদ হাননান
৫। স্নেহ- সেপ্টেম্বর ১৬, ১৯৯৪ । পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার
৬। প্রেম যুদ্ধ – ডিসেম্বর ২৩, ১৯৯৫ । পরিচালক জীবন রহমান
৭। কন্যাদান- মার্চ ৩, ১৯৯৫ । পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
৮। দেনমোহর – মার্চ ৩, ১৯৯৫ । পরিচালক শফি বিক্রমপুরী
৯। স্বপনের ঠিকানা – মে ১১, ১৯৯৫ । পরিচালক এম এ খালেক
১০। আঞ্জুমান- আগস্ট ১৮, ১৯৯৫ । পরিচালক হাফিজ উদ্দিন

১১। মহামিলন- সেপ্টেম্বর ২২, ১৯৯৫ । পরিচালক দিলীপ সোম
১২। আশা ভালবাসা – ডিসেম্বর ১, ১৯৯৫ । পরিচালক তমিজ উদ্দিন রিজভী
১৩। বিচার হবে – ফেব্রুয়ারি ২১, ১৯৯৬ । পরিচালক শাহ আলম কিরণ
১৪। এই ঘর এই সংসার – এপ্রিল ৫, ১৯৯৬ । পরিচালক মালেক আফসারী
১৫। প্রিয়জন – জুন ১৪, ১৯৯৬ । পরিচালক রানা নাসের
১৬। তোমাকে চাই – জুন ২১, ১৯৯৬ । পরিচালক মতিন রহমান
১৭। স্বপ্নের পৃথিবী – জুলাই ১২, ১৯৯৬ । পরিচালক বাদল খন্দকার
১৮। সত্যের মৃতু নাই –অক্টোবর ৪, ১৯৯৬ । পরিচালক ছটকু আহমেদ
১৯। জীবন সংসার – অক্টোবর ১৮, ১৯৯৬ । পরিচালক জাকির হোসেন রাজু
২০। মায়ের অধিকার – ডিসেম্বর ৬, ১৯৯৬ । পরিচালক শিবলী সাদিক

২১। চাওয়া থেকে পাওয়া – ডিসেম্বর ২০, ১৯৯৬ । পরিচালক এম এম সরকার
২২। প্রেম প্রিয়াসি –এপ্রিল ১৮, ১৯৯৭ । পরিচালক রেজা হাসমত
২৫। স্বপনের নায়ক – জুলাই ৪, ১৯৯৭ । পরিচালক নাসির খান
২৬। শুধু তুমি – জুলাই ১৮, ১৯৯৭ । পরিচালক কাজী মোরশেদ
২৭ আনন্দ অস্র – আগস্ট ১, ১৯৯৭ সালে । পরিচালক ছটকু আহমেদ

স্টাইল আইকন সালমান

নব্বই দশকে যেখানে নায়করা সাধামাঠা সিমসাম পোশাক পড়ত। সেখানে সালমান নিয়ে আসে স্টাইলিশ সব পোশাকের সমাহার। তাছাড়া লাইফস্টাইল ছিল অন্য সব নায়কদের থেকে সম্পন্ন আলাদা। তিনি চুলে বাহারি ধরনের ব্যান্ডেনা ব্যবহার করতে। তার ব্যবহার করা বাহারি ধরনের টুপি তার ভক্তরা তাকে কপি করে পড়ত। তিনি সেসব স্টাইলিশ জিনিসপ্ত্র ব্যবহার করত তখনকার অভিনেতারা তা চিন্তা ও করতে পারত না। তার কলারে রুমাল, ডান হাতে ঘড়ি, ব্যাক ব্রাশ হেয়ার , টি শার্ট কিংবা জিন্স ব্যবহার তখনকার তরুণদের মাঝে তিনি ক্রেজ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছিলেন। শুধু নব্বই দশকের তরুণ তরুণী নয় বর্তমান সময়ের তরুণ তরুণীদেরকে ও সালমানকে অনুকরণ করতে দেখা যায়। এমনকি বর্তমান নায়করা ও তাকে অনুসরণ করে থাকে। সালমানের স্টাইলের কারণে তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।

সালমান শাহর পারিবারিক জীবন

সালমান শাহ বিয়ে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হিরার মেয়েকে। শফিকুল হক হিরার মেয়ে সামিরা হক ও সালমান একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেন ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট। সালমানের স্ত্রী সামিরা হক বিয়ের আগে সালমানের পোশাক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের বিয়েটি ভালবাসার বিয়ে হলেও তাদের দুজনের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। সালমান সামিরা দম্পতির কোন ছেলে মেয়ে নেই।

সালমান শাহর মৃত্যু

সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্যের নাটক এখন ও শেষ হয়নি। শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমানকে পাওয়া যায় তার নিজ বাসায়। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য আছেন অনেক কিন্তু সঠিকভাবে কেও কিছু বলতে পারে না। যারা সালমানের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করেছেন তারা বলছেন সালমান তাত্নহত্যা করেছেন কিন্তু সালমানের মা নীলা হক তা মানতে নারাজ। সালমানের মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন তার মা নীলা চৌধুরী। কিন্তু তদন্ত কমিটি তার সত্যতা খুজে পায় নি। সালমানের মৃত্যুর রহস্য আদো উদ্ঘাটন হবে কিনা তা বলা যায় না সঠিক ভাবে। যদিও পুলিশ সবর্শষ ২০২০ সালে জানান যে সালমান আত্নহত্যাই করেছিল।

রুবির স্বীকারোক্তি

সম্প্রতি রাবেয়া সুলতানা রুবি স্বীকার করেছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, তাকে খুন করা হয়েছে। তার স্বামী চ্যান লি ওরফে জন চ্যান, একজন চীনা নাগরিক এই হত্যার সাথে জড়িত ছিল। সালমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রুবি। এখন মামলাটি নতুন মাত্রায় রূপ নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুবির স্বীকারোক্তির পর, ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

পুরস্কার

১৯৯৫ সালে নয়ন নাটকের জন্য বাচসাস পুরস্কাত লাভ করেন। নয়ন নাটকটি ১৯৯৫ সালে বাচসাস পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ একক নাটক হিসেবে। ইয়ুথ এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট নামক একটি বেসরকারি সংস্থা তাকে শ্রেষ্ঠ নায়ক হিসেবে পুরস্কীত করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top